হাসি-আনন্দে ভরপুর একটি জীবনই প্রত্যেকটি মানুষের কাঙ্খিত স্বপ্ন। তবে বাস্তবতার যাতাকলে পড়ে আজকাল অনেকেই হাসতে ভুলে গেছে। তবু যত কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না হাসতে তো হবেই। হাসি পেলেই হাসতে হবে। কারণ হাসি-কান্না নিয়েই আমাদের জীবন।
তবে একটা জিনিস হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে, বন্ধুদের আড্ডা বা বাড়িতে বসা কোনও আসরে দমফাটা হাসির প্রসঙ্গ এলেই হাসতে হাসতে এক সময় চোখে পানি এসে পড়েছে। এ এক অদ্ভুত ব্যপার বটে, তবে এটির পেছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, হাসি ও কান্নার পিছনে মস্তিষ্কের একই অংশ কাজ করে। যতই এই দুইটির পেছনে বিপরীতধর্মী মানসিকতা কাজ করুক না কেন, মস্তিষ্কের একই অংশ এই আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে।
মূলত আমাদের চোখের পানি তৈরি হয় অশ্রুগ্রন্থি থেকে। সেই অশ্রুগ্রন্থি থাকে নাকের গোড়া ও চোখের কোণের মাঝখানে। আমরা যখন কান্না করি তখন সেখান থেকেই চোখে পানি আসে। হাসির মাত্রা কম থাকলে সমস্যা নেই কিন্তু যখন খুব জোরে হাসা হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরে কাঁপুনি শুরু হবে।
কারণ স্থির হয়ে বসে জোরে হাসা যায় না। এই জোরে হাসার কারণে শরীরে যে কাঁপুনি শুরু হয় তাতে মুখের পেশিগুলোতে চাপ পড়ে। সেই চাপ সোজা গিয়ে পড়ে অশ্রুগ্রন্থিতে। আর তখনই গ্রন্থি থেকে পানি নিঃসরণ হতে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :