• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাসপাতালে ঢুকে দুই চিকিৎসককে পেটালেন শ্রমিক নেতা


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
হাসপাতালে ঢুকে দুই চিকিৎসককে পেটালেন শ্রমিক নেতা
জেলার মানচিত্র

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ছেলেকে চিকিৎসা প্রদানে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে দুই চিকিৎসককে পিটিয়েছেন এলিম পাহাড় নামের এক শ্রমিক নেতা।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এমন ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত এলিম পাহাড় শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি মারামারির ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলিম পাহাড়ের ছেলে মাথায় আঘাত পেয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন চিকিৎসা নিতে। খবর পেয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন এলিম পাহাড়ও। এলিম পাহাড় যখন জরুরি বিভাগে তখনো তার ছেলের চিকিৎসা চলছিল। এসময় এলিম পাহাড় তার ছেলেকে দ্রুত চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনাকে গালমন্দ শুরু করলে সেখানে উপস্থিত আরেক চিকিৎসক শাহরিয়ার ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। তখন চিকিৎসক শাহরিয়ার ইয়াছিনের শার্টের কলার ধরে তাকে মারধর করা হয়। হামলার সময় ওই চিকিৎসকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে ফেলে এলিম পাহাড় ও তার লোকজন। এমন ঘটনা শুনে জরুরি বিভাগে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান ছুটে আসলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়।  বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই পালিয়ে যায় এলিম পাহাড় ও তার লোকজন। এরপর চিকিৎসকরা এলিম পাহাড়ের কিশোর ছেলেকে হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালটির চিকিৎসক শাহরিয়ার ইয়াছিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন লিমিয়া। এলিম পাহাড়ের ছেলে জরুরি বিভাগে আসার পরে লিমিয়া তাকে দেখে হ্যান্ড গ্লাভস পরছিলেন। এ সময় আমি পাশের কক্ষে প্রশাসনিক কাজ করছিলাম। এরমধ্যে এলিম পাহাড় এসে লিমিয়ার ওপর চড়াও হয়ে আজেবাজে ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আমি এসে প্রতিবাদ করলে আমাকে কিল ঘুসি ও থাপ্পড় মারেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এক চিকিৎসককে রোগীর স্বজনরা মারধর করছিলেন। এমন খবর পেয়ে আমি জরুরি বিভাগে গেলে তারা আমার ওপরও চড়াও হয়ে গালাগাল করেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

এ বিষয়ে জানার জন্য এলিম পাহাড়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সদর হাসপাতালে চিকিৎসকে লাঞ্ছিত করার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সেখান থেকে আমরা সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এখন ভুক্তভোগী চিকিৎসকরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

Link copied!