দিন দিন গরমের তীব্রতা বাড়ছেই। গরম থেকে রেহাই পেতে এখন পরিবর্তন এসেছে খাদ্যাভাসেও। যেসব খাবার শরীর ঠান্ডা রাখবে সেসব বেশি খাওয়া হচ্ছে। তাইতো বাজার থেকে এখন লাউ কেনা বেড়ে গেছে। লাউ ঠান্ডা সবজি। এটি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। পেটে আরাম পাওয়া যায়। তাই এই গরমে লাউয়ের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে।
লাউয়ের মধ্যে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে। শরীরে নানা ধরণের খনিজ উপাদানের অভাব পূরণেও এই সবজি খাওয়া ভালো। এটি পরিপাক তন্ত্র ভালো রাখে।
লাউয়ের মতো আরও একটি সবজির চাহিদাও বেড়েছে এই গরমে। তা হচ্ছে ঝিঙে। গরমে অত্যন্ত উপকারী এই সবজি। এতে বিটা ক্যারোটিন, আয়রন, ভিটামিন বি৬, সেলুলোজ়, ফাইবার এবং পানি রয়েছে। যা শরীরকে আর্দ্র রাখে। তবে এই গরমে শরীরের জন্য কোন সবজিটি বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। পুষ্টিগুণ বেশি কোন সবজিতে এবং কোনটি প্রতিদিনের খাবার টেবিলে রাখলে ভালো হবে তা বুঝতেই পারেন না। চলুন লাউ আর ঝিঙের মধ্যে থাকা খাদ্যগুণের পরিমানটা দেখে নেই।
হজমে সহায়ক
দুটি সবজিই হজমে সহায়ক। এগুলোতে সহজপাচ্য ফাইবার রয়েছে। যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এই দুই সবজি খেতে পারেন। এতে হজম ভালো হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে।
ক্যালোরি
লাউ এবং ঝিঙে দু’টি সবজিতেই ক্যালোরি কম থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে এই দুই সবজিই প্রতিদিন খেতে পারেন। আবার ডায়াবেটিসের রোগীরাও এই দুই সবজি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। কারণে এতে সুগারের পরিমাণও কম থাকে। আবার অতিরিক্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডাও রাখে।
শরীরের আর্দ্রতা
এই দুটি সবজির মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি। তাই গরমে পুষ্টিবিদরা এই সবজিগুলো বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন। গরমে শরীর আর্দ্র রাখে এবং পানিশূন্যতা পূরণ করে। তাই শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই দুই সবজি নিয়মিত খাবেন।
শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে
লাউ ও ঝিঙের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা সূচক কম রয়েছে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা এগুলোর মধ্যে কম রয়েছে। তাই এসব সবজি রান্না করে খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।