কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকের কাছেই পরিচিত। কারণ, বেশির ভাগ মানুষই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কোষ্ঠকাঠিন্য যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তবে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। প্রতিবার মলত্যাগের সময় কষ্ট, এমনকি হতে পারে রক্তপাতও। ডিহাইড্রেশন অনুপোযোগী খাবার, কিছু ওষুধ এবং মানসিক চাপের কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত ত্রিফলা খান, তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।
ত্রিফলা কেন ব্যবহার করা হয়
ত্রিফলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমাতে সহায়তাসহ বিভিন্ন উপকারে আসে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্যও পরিচিত। ত্রিফলা গুঁড়া হলো তিনটি ভেষজ আমলকী, হরীতকী ও বহেরার মিশ্রণ। এই ভেষজগুলো দীর্ঘকাল ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
হরীতকী
হরীতকী ত্রিফলার মধ্যে একটি শক্তিশালী রেচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পাকস্থলীর মধ্যে একটি অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং লুব্রিক্যান্ট উভয়ই কাজ করে, কার্যকরভাবে মলকে আলগা করে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমায়।
আমলকী
আমলকীতে পেট ঠান্ডা করার বৈশিষ্ট্য থাকে। এটি পেটের ভেতরের আস্তরণকে প্রশান্তি দেয় এবং শান্ত করে। আমলকী প্রদাহ হ্রাস করে এবং জ্বালা উপশম করে, ফলে এটি পেটে স্বস্তি দেয়। সেই সঙ্গে আমলকী সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।
বহেরা
ত্রিফলার আরেকটি অত্যাবশ্যক উপাদান হলো বহেরা। এর আছে প্রাকৃতিক রেচক বৈশিষ্ট্য এবং এতে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার, যা কার্যকরভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ত্রিফলা
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় ত্রিফলা যোগ করলে তা হজমের স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্রিফলা গুঁড়া তৈরি করার জন্য যথাক্রমে বহেরা, হরীতকী এবং আমলকীর ১:২:৩ অনুপাতে নিতে হবে। ত্রিফলা খেতে পারেন এই নিয়মগুলো মেনে।
খাওয়ার নিয়ম
আধা থেকে এক চা-চামচ ত্রিফলা চূর্ণ নিন এবং সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানি দিয়ে পান করুন।
ত্রিফলা পানি
যদি ত্রিফলার মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে ত্রিফলা গুঁড়া সারা রাত কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এটি পান করুন, বিশেষ করে ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে।
মধু
আপনার যদি ত্রিফলা এবং পানির স্বাদ ভালো না লাগে, তবে প্রাকৃতিক মিষ্টতা ছড়িয়ে দিতে এক চামচ মধু যোগ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :