• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অভিযোগ উঠলেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদ: ইসি আলমগীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
অভিযোগ উঠলেই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদ: ইসি আলমগীর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেছেন, “প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রার্থীর অভিযোগ আসে, এটা প্রমাণের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রার্থী যদি বলেন উনি অমুকের আত্মীয় বা ওই পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন, তাহলে প্রমাণ ছাড়াই তাকে বাদ দেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (২ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “শুধু শুধু কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্যানেল থেকে অন্য একজনকে নিয়োগ দেব। প্যানেলে যোগ্য লোক না পেলে প্রয়োজনে পাশের জেলা বা উপজেলা থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এটা ট্রেনিং শুরু হওয়ার আগেই করতে হবে। আমাদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অভাব নাই। তবে কোনো প্রার্থী তালিকা দিলে সেটাও নেওয়া যাবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে প্রমাণ দিতে হবে। যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের অত নেই।”

এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে আচরণবিধি মেনে চলেন, সে জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “কমিশন ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই, সেটা ওখানে থাকবে। চিঠিও সম্ভবত চলে গেছে। বার্তাটা হলো মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারেন, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলের এমপি মন্ত্রী যে-ই হোক না কেন, অবৈধ প্রেশার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কে কার আত্মীয়, মন্ত্রী, এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নাই। কোনো প্রার্থী যে-ই হোক না কেন, সকল প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে কি, থাকবে না তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কি না। অনেক প্রার্থী, এমনকি অনেক দল অংশ না নিলে স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন।”

ইসির বার্তা মন্ত্রী-এমপিরা না মানলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মন্ত্রী-এমপিরা বিধি না মানলে দেখতে হবে কোন বিধি ভঙ্গ করলেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইসি আলমগীর বলেন, “মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছি না। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে ফোনে বলেছি। তারাও অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে পারছে না। কেননা, কিছু কিছু বিধি খুব সূক্ষ্ম। যেমন একজন মন্ত্রী মসজিদের নামাজ পড়তে গেছেন, সেখানে প্রার্থীও গেছেন। আর এটাই অনেকে বলছেন প্রচার চালিয়েছেন, এমন আরকি।”

তিনি আরও বলেন, “কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো এমন কোনো অভিযোগ আসেনি যে, মন্ত্রী মহোদয় মঞ্চে গেছেন, কারও পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।”

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, “সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির কথা কোনোটাই বলছি না। যিনি আসতে চান, তার জন্য দুয়ার খোলা। এ জন্য আমরা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দিয়েছি। এটা এ জন্যই করা হয়েছে, যেন কেউ কাউকে বাধা দিতে না পারে।”

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যেহেতু দলীয় ও স্বতন্ত্র দুইভাবে নির্বাচন করার সুযোগ আছে। এ ক্ষেত্রে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দল সকলের জন্য ওপেন করে দিতে পারে, আবার কোনো প্রার্থীকে কোনো দল অফিশিয়ালি নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলতে পারে না। জোর করতে পারবে না। শক্তি প্রয়োগ করে হুমকি দিয়ে পারবে না। প্রকাশ্যে হুমকি দিলে সেটা হুমকি। কিন্তু তারা যদি দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়, সেই অধিকার তো তাদের আছে। তবে যদি একজন প্রার্থী অভিযোগ করে হুমকি দেওয়ার বা ভয় দেখানো হয়। সেটাতো আচরণবিধির লঙ্ঘন।”
 

Link copied!