নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগের নাম। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণের কারণে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়া মৃদু বা হালকা থেকে জীবন হানিকরও হতে পারে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম. দেলোয়ার হোসেন।
নিউমোনিয়া সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল বা কম তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে তরুণ, অল্প বয়স্ক, স্বাস্থ্যবান লোকদেরও নিউমোনিয়া হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেমিক্যাল বা এসপিরেশন (বাইরের কোনো বস্তু বা খাবার ফুসফুসের ভেতর চলে যাওয়া) এর জন্যেও হতে পারে। সচরাচর পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের নাকে নল দিয়ে খাবার খাওয়ানোর সময় বাইরের কোনো বস্তু বা খাবার ফুসফুসের ভেতর চলে যায়।
নিউমোনিয়ার উপসর্গগুলো নির্ভর করে শারীরিক অবস্থা এবং কী ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ হয়েছে তার ওপর। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো :
- জ্বর।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের দুর্বল তাদের জ্বর নাও থাকতে পারে।
- কাশি।
- শ্বাসকষ্ট।
- কাঁপুনি।
- বুকে ব্যথা, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ওঠা-নামা করে।
- অস্বাভাবিক জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বুকে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
যারা ঝুঁকিতে আছেন :
- বৃদ্ধ।
- ধূমপায়ী।
- যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত।
- যারা ফুসফুসে কোনো আঘাত পেয়েছেন।
- যাদের কেমোথেরাপি (ক্যান্সারের চিকিৎসা) অথবা অন্য কোনো ওষুধ খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে।
করণীয়
- বিশ্রাম নিতে হবে।
- প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
- ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধুতে হবে।
- নিজের প্রতি যত্ন নিতে হবে।
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
- ধূমপান করা যাবে না।
- অন্যের সামনে হাঁচি বা কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখ হাত দিয়ে ঢাকতে হবে বা রুমাল ব্যবহার করতে হবে।
- টিকা দিতে হবে। যেমন : ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন খুবই কার্যকর।
- ডায়াবেটিস, এইডস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদির চিকিৎসা করাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :