• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬
সওজ বলছে

সড়কে ‘ব্লিডিং’ হচ্ছে


শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
সড়কে ‘ব্লিডিং’ হচ্ছে

তীব্র তাপদাহের কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের বালি বাড়ির মোড় থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গলে যেতে শুরু করেছে সড়কের পিচ। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরগতিতে যানবাহন চালাচ্ছেন চালকরা। এছাড়া পিচ গলে যাওয়ায় সড়কের পাথর সরে গিয়ে সড়কটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বালি বাড়ির মোড় থেকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেজা। ১৭ কিলোমিটারের এই সড়কটির প্রায় ১৫টি স্থানে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বিটুমিন গলে সড়কটি ভিজে গেছে। ভেজা অংশ দিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে টায়ারের সঙ্গে পিচ লেগে যাচ্ছে। ভেজা স্থান দিয়ে ট্রাকসহ যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করছে।

শরীয়তপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিগত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে শরীয়তপুরের তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। প্রচণ্ড রোদে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

সখিপুর এলাকার আলামিন সরদার জীবিকার তাগিদে সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শরীয়তপুরে যাতায়াত করেন। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “পিচ গলে যাওয়ার বিষয়টি গত দুই তিন ধরে লক্ষ করছি। সড়কের পিচ গলে যাওয়ার কারণে মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে পিচ আটকে যাচ্ছে। সড়কটিতে চলাচল করা এখন জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর থেকে অন্য সড়ক ব্যবহার করব।”

মাইক্রোবাস চালক সোহেল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বালি বাড়ি থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি স্থানে সড়কের পিচ গলে গেছে। একটু অসাবধানতার কারণে যেকোনো মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সর্বোচ্চ সতর্ক হয়ে গাড়ি চালাতে হয় আমাদের।”

চট্টগ্রাম থেকে রট নিয়ে সড়কটি দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করেন ট্রাক চালক নোমান মাল। জানতে চাইলে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “মনোহরমোড় থেকে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর বালি বাড়ির মোড়ে দেখতে পেয়েছি পিচ গলে গেছে। সারা দেশে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। অন্যান্য জেলায়ও এমন ঘটনার সাক্ষী আমি। তবে গলে যাওয়া অংশে খুব সাবধান হয়ে গাড়ি চালাতে হয়, নয়ত যেকোনো মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”

শরীয়তপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সড়কের পিচ গলে যায়নি। যেকোনো সড়কে যখন ভালো মানের পিচ ব্যবহার করা হয়, তখন তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ব্যবহৃত পিচ ব্লিডিং হয়। যাকে বাংলায় বলতে পারি ফুলে যাওয়া। তাপ প্রবাহ কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে নতুন করে পিচের লেয়ার দিয়ে দেওয়া হবে। শুধু শরীয়তপুর নয়, গরমে সারা দেশের একই অবস্থা।”

স্বদেশ বিভাগের আরো খবর

Link copied!