ঢেঁড়সে রয়েছে পর্যাপ্ত আয়োডিন, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে নানান রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন রয়েছে। চলুন জেনে নিই ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
- শরীরকে সচল ও রোগমুক্ত রাখতে নিয়মিত যে যে উপাদানগুলোর প্রয়োজন পড়ে, ফলেট তার মধ্যে অন্যতম। তাই শরীরে এ উপাদানটির ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন ঢেঁড়স খাওয়া উচিত।
- ঢেঁড়সে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাস–অম্বলের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে প্রতিদিন এই সবজি খেলে একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি কোষেদের বিভাজনও হয় ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে।
- অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যদি চিন্তায় থাকেন, তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে ঢেঁড়স রাখুন। সবজিটিতে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে।
- শরীরের লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় ঢেঁড়স। তাই অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে।
- শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে ঢেঁড়সের বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে সবজিটি ফাইবারসমৃদ্ধ। এই উপাদানটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ঢেঁড়স। সেই কারণেই তো ৪০-এর পর থেকে প্রত্যেক নারীর নিয়ম করে ঢেঁড়স খাওয়া উচিত।
- আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অথবা ধুলাবালু নাকে ঢুকলেই যদি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়, তাহলে তো শ্বাসকষ্ট কমাতে ঢেঁড়সের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেই পারেন। কারণ, এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী অ্যালার্জেনরা কোনো ধরনের ক্ষতি করতে পারে না।