চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামসেদ হিরু (৪৫) মারা গেছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। পুলিশও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ শয়নকক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মর্গে। হিরু উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বক্স আলী ফকির বাড়ির মো. শুক্কুর মেম্বারের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামসেদ হিরু রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা থাকার কারণে তিনি রাতে বসতঘরে না থেকে পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়ের কাচারিঘরে থাকতেন।
প্রতিদিনের মতো সকাল ৬টার দিকে তার স্ত্রী তাকে ডাকতে গিয়ে সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন, হিরু রশিতে ঝুলে রয়েছেন। পরে দরজা ভেঙে দেখতে পান, তার বুকে রক্তও রয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশটি তারা নিচে নামিয়ে ফেলেন। লাশটি ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এখন হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এ ব্যাপারে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এ নেতা তার (শামসেদ হিরু) ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়।’ তার এই ফেসবুক পোস্টে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, তা নিয়েও নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।