তিন দিনব্যাপী শুল্ক ইস্যুর দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব বিষয় জানানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ২ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষ হয়। শুক্রবার ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯টার দিকে তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার পোস্টে জানানো হয়, আলোচনার দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, সেসব বিষয় উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে দুই দেশ মোটামুটিভাবে একমত হয়েছে। কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
পোস্টে বলা হয়, দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একান্তে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রিয়ার ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
পোস্টে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির পরিমাণও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এর মধ্যে শুরু হয়েছে। শুল্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে। পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক থাকে। গ্রিয়ার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ঢাকা থেকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী।