আগের তুলনায় হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বেড়েছে। আজকাল কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে মারাত্বক এই রোগ। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, মানসিক চাপ, বেশি খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।
এছাড়াও চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টির ঘাটতির কারণেও হৃদরোগ হতে পারে। আজ জানিয়ে দেব তেমনই কিছু পুষ্টির কথা যেগুলোর অভাবে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে বেড়ে যেতে পারে হৃদস্পন্দনের হার। ম্যাগনেশিয়াম শারীরের নানা কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।
শরীরে এই খনিজটির অভাব হলে অবসাদ, ক্লান্তি, প্রদাহ, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই রোগকে অ্যারিদমিয়া বলা হয়। এই সব উপসর্গই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। তাই ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই পালং শাক, স্যালমন, অ্যাভোকাডো, কলা, টকদই, বিভিন্ন বাদাম ও বীজ রাখুন। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।
পটাশিয়ামের অভাবেও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে হাড় ও পেশির সমস্যা। আলু, কিডনি বিনস, কলা, অ্যাভোকাডো, দুধ, স্যালমন ও টুনা মাছ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। তাই নিয়মিত এগুলো খান।
তবে মনে রাখবেন, শরীরে পটাশিয়াম বেশি হয়ে গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শরীরে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ডিমের কুসুম, স্যালমন, টুনা ও ফোর্টিফাইড কমলালেবুর রসে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফোলেট ও ভিটামিন বি ৬ থাকলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :