• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন, যা খাবেন না


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৩, ০২:২৮ পিএম
ঈদে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা খাবেন, যা খাবেন না

ঈদ মানেই খাওয়াদাওয়া। একমাস সংযম করার পর ঈদের দিনটি খাওয়াদাওয়া ও ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎযাপান করাটাই ঈদের স্বার্থকতা। ঈদে খাবারের টেবিল সাজে বর্ণিল আয়োজনে। কিন্তু এবারের আবহাওয়া যেহেতু কিছুটা ব্যতিক্রম সেক্ষেত্রে একটু নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রয়োজন। চলুন দেখে নিই ঈদের দিনে আপনার খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে—

 


সকালের খাবার
সকালের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকেই ঈদের সকালে মিষ্টিমুখ করে নামাজ পড়তে যান। এক্ষেত্রে সেমাই, পায়েশ ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। তবে খালি পেটে মিষ্টি খাবার খেলে সারাদিন অ্যাসিডিটিতে ভুগতে পারেন। তাই ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে ১টি সেদ্ধ ডিম খেয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি চেষ্টা করুন মৌসুমি ফলের জুস খেতে।

পরিমাণমতো খাওয়া
ঈদে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে মাংস, মিষ্টি, কিংবা মুখোরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হয়, তাই অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এর কারণ হলো একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না অনেকেই। ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে, ব্যথা করে, বারবার পায়খানা হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। যদিও কোনো নির্দিষ্ট খাবার খেতে মানা নেই, তবে পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি।

দুপুরের খাওয়া
এক্ষেত্রে শুরু থেকেই পরিকল্পনা থাকা উচিত। যেহেতু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই সবাই মাংস খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাই সকাল আর দুপুরের খাওয়াটা কম খেলেই ভালো। কোথাও দাওয়াত খেতে গেলেও কম খেতে হবে। আবহাওয়া এখন বেশ তপ্ত, তাই ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি, মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি খাবার যতটা সময় কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

চর্বি 
অতিরিক্ত চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাংসের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাওয়া যেতে পারে। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। মাংসে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিন।

কোমল পানীয়
গরমে বেশিরভাগ মানুষই স্বস্তি পেতে কোমল পানীয়ে চুমুক দেন। তবে চেষ্টা করুন এগুলো এড়িয়ে চলার, এতে শরীর আরও পানিশূন্য হয়ে ওঠে। এর বদলে তাজা ফলের রস কিংবা ডাবের পানি পান করুন। আর দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করুন অবশ্যই।

একই সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। এই বিষয়গুলো মেনে চললে সুস্থভাবে ঈদ আনন্দ করতে পারবেন।

Link copied!