রোজায় ৫ ফলে থাকবেন সুস্থ

বিভিন্ন ফল থেকে বিভিন্ন ধরনের উপকার আসে। তাই প্রতিদিন একই রকম ফল না খেয়ে সেই তালিকায় অদল-বদল আনুন। এতে রুচির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক পুষ্টির জোগানও মিলবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান  শরীরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন ধরনের ফলে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, পটাসিয়াম ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকে। রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ফল খেতে হবে। তাই রোজায় কোন সমস্যার দূর করতে কোন ফলটি খাবেন চলুন জেনে নিই—

কলা

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কলায় থাকে প্রচুর পটাসিয়াম। তাই এই ফল খেলে তা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে দুর্দান্ত কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ। এই ভিটামিন আমাদের লিভার এবং কিডনিকে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করার কাজে সাহায্য করে। এদিকে কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনির পাথরের ক্রিস্টাল বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।

চেরি ফল

জয়েন্টে ব্যথা হয় যাদের তাদের প্রতিদিন লাল চেরি খাওয়া উচিত। কারণ এই ফলে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ। এই উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, তাজা চেরির জুস ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে বেশ কার্যকরী।

অ্যাভোকাডো

বিদেশি এই ফল পাওয়া যায় আমাদের দেশেও। অ্যাভোকাডো খেলে তা বার্ধক্যকে দূরে রেখে আপনাকে রাখবে তরুণ। এনসিবিআই-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাভোকাডোতে থাকা উপকারী যৌগ আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে এটি বলিরেখা দূর করতেও কাজ করে।

তরমুজ

আমাদের শরীরে পানি অভাব পূরণ করার পাশাপাশি এবং পেট ঠান্ডা রাখতে কাজ করে তরমুজ। এই ফলের আছে আরও অনেক উপকারিতা। সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারে তরমুজ হতে পারে স্বস্তিদায়ক একটি খাবার। কারণ এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। এটি সারাদিন খালি পেটে থাকার পরও আপনাকে সতেজ থাকতে সাহায্য করবে।

আপেল

রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা প্রতিরোধে দুর্দান্ত একটি প্রতিকার হতে পারে আপেল। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপেলে থাকে প্রচুর ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ মলত্যাগের উন্নতির জন্য ফাইবার জরুরি। ডায়ারিয়াসহ আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায়ও কাজ করে উপকারি ফল আপেল।

অন্যান্য ফলের পাশাপাশি এই ৫টি ফল রাখুন খাবারে। উপকার পাবেন নিশ্চিত।