তীব্র রোদে অনেককেই বাইরে বের হতে হয় জীবিকার প্রয়োজনে। অনেকেরই আবার চলাচলের মাধ্যম হলো বাইক বা মোটরসাইকেল। কেবল রোদই নয়, সেই সঙ্গে থাকে গরম বাতাসও। যারা প্রতিদিন তীব্র রোদে বাইক চালাচ্ছেন, তারা যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন—
বিশ্রাম নিতে পারেন
দীর্ঘ সময় একটানা বাইক চালালে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে ছায়াযুক্ত কোনো জায়গায় বাইক থামিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। পরিষ্কার পানিতে রুমাল ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীরের খোলা অংশ মুছে নিলে অনেকটা আরাম পাবেন। কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে তারপর গন্তব্যে রওনা হোন। শরীরে কোনো ধরনের অস্বস্তি দেখা দিলে তা উপেক্ষা করবেন না। বিশ্রাম নিলে কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন। এই গরমে লেবুর শরবত, ডাবের পানি, দইয়ের ঘোল ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে শরীর ঠান্ডা থাকবে।
হেলমেট ব্যবহার করুন
নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, বাইক চালানোর সময় রোদ থেকে বাঁচার জন্যও হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলোতে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে কারণে তীব্র রোদে চোখও আরাম পায়। সেই সঙ্গে ফুলহাতা ও সুতির পোশাক পরলে রোদের তাপ থেকে বাঁচতে পারবেন।
ফুয়েল ট্যাংক
গরমের সময়ে বাইকের ফুয়েল ট্যাংক পুরোপুরি ভরবেন না। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে ডিজেল কিংবা পেট্রল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তেল লিক করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে ফুয়েল ট্যাংকের অর্ধেক বা চার ভাগের তিন ভাগ তেল নিন।
বাইক ভালো রাখতে
গরমের সময়ে বাইক ভালো রাখতে কুল্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি একধরনের তরল, যা বাইকের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে। এটি কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। তবে কুল্যান্ট যদি ভুল পদ্ধতিতে করা হয়, তাহলে ইঞ্জিনের ক্ষতি পারে। সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন। সঙ্গে গরমকালে টায়ার প্রেশার সাধারণ সময়ের থেকে একটু কম রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাতাসের বেগ বেশি থাকলে গরমে তা ফেটে যাওয়ার ভয় থাকে।