ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে বিছানার চাদর। ঘরকে পরিপাটি দেখাতে সুন্দর ও মানানসই চাদর হলেই হয়। ঘরের বৈচিত্র্য আনতে পারে রংবেরঙের চাদর। ঘরকে দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিকতার ছোঁয়া দিতে চাদরে বৈচিত্র্য আনা দরকার। কোন ঘরে কেমন চাদর মানানসই হবে, তা বুঝেই চাদর কিনুন। চাদরের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই দরকার। ছোট কিংবা বড় দুই ধরনের ঘরের জন্যই চাদরের ভিন্নতা থাকবে। সব বিষয় মাথায় রেখেই চাদর নির্বাচন করুন। মনে রাখবেন, চাদরের বৈচিত্র্যতা ঘরের শোভা বাড়াবে কয়েক গুণ।

- ঘরের আকারের দিকে নজর রাখুন। বড় ঘরের শোভা বাড়াতে একরঙা চাদর বেছে নিন। হালকা রংকে প্রাধান্য দিতে পারেন। ঘরজুড়ে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হবে। ভারী নকশা বা এমব্রয়ডারি করা চাদর বড় ঘরের শোভা বাড়াবে।
- ছোট ঘরের জন্যও হালকা রঙের চাদর বেছে নিন। ঘরটিকে প্রশস্ত দেখাবে। এ ক্ষেত্রে আড়াআড়ি বা লম্বালম্বি রেখাবিশিষ্ট নকশার চাদর ভালো লাগবে। খেয়াল রাখবেন, নকশা যত হালকা হবে, ঘর ততই প্রশস্ত দেখাবে।
- ঘর যদি বেশি প্রশস্ত হয় তবে রঙিন চাদর হতে পারে সেরা পছন্দ। রঙিন চাদর ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলবে। আয়তনে বড় ঘরের ক্ষেত্রে বাহারি রং বেছে নিন। ছোট-বড় যেকোনো নকশাই এই ঘরে মানিয়ে যাবে। জ্যামিতিক রেখাবিশিষ্ট চাদরও বেছে নিতে পারেন। বড় ছাপার রঙিন চাদর প্রশস্ত ঘরের শোভা বাড়াবে।
- ঘরে যদি অনেক আসবাব থাকে, তবে তা ছোট দেখায়। এই ঘরে রঙিন বা বড় নকশার চাদর ব্যবহার করতে পারেন। হালকা রংকে এ ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় আপনার অস্বস্তিবোধ হতে পারে।

- সুতি অথবা লিনেনের চাদর ব্যবহার করতে পারেন। এই দুই ধরনের কাপড়ই বেশ টেকসই হয়। এসব চাদর রোদে শুকিয়ে নেওয়া যায় সহজেই। এগুলো তুলনামূলক নরম হয় এবং সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। তাই গরমের মৌসুমে আরাম দিতে পারে এই চাদর।
- বাড়ির রং এবং জানালার পর্দার সঙ্গে মিলিয়েও বিছানার চাদর বেছে নিতে পারেন। হালকা রঙের চাদর প্রশান্তি দেয়। কিন্তু ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই গাঢ় রঙের বড় প্রিন্টের চাদর ব্যবহার করুন। এতে ময়লা বা দাগ কম বোঝা যাবে।
- খাটের মাপ অনুযায়ী বিছানার চাদর বেছে নিন। খাটের ধরণ বুঝে চাদর ঝুলিয়ে দিন। কিংবা তোশকের নিচে ঢুকিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন নিচের দিকে সমানভাবে যেন চাদরটি ঝুলে থাকে। বক্স খাটে অবশ্যই চাদর তোশকের নিচে গুঁজে দিন।