ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও সোনা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরকান্দা উপজেলার শ্রীরাঙ্গাল গ্রামের আলিম শেখের ছেলে ও দ্য ন্যাশনাল ইসলামিক প্রি ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোক্তার হুসাইন ওরফে মোকা (৪৫), পূর্বসদরদী গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কিবরিয়া শেখ (৩৫), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চরবাহাড়া গ্রামের মৃত সেকের শেখের ছেলে শহিদুল ওরফে শহিদ (৪৫) ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের পরিতোষ রায়ের ছেলে পার্থ রায় (৪২)।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামে দুই প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা গৃহকর্তা ও নারীদের পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় মামলা করে ভুক্তভোগীরা। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মূল পরিকল্পনাকারী মোক্তার ও কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করে। মোক্তার স্কুল পরিচালনার অন্তরালে এবং কিবরিয়া ইলেকট্রিক মিস্ত্রির অন্তরালে ডাকাতি করেন।
অন্যদিকে গত ৩০ মে উপজেলার আলগি ইউনিয়নের শাহামুল্লুকদী গ্রামে একই রাতে দুই বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে। সেই মামলায় অপর আসামি শহিদুল ও পার্থ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদের তথ্যের ভিত্তিতে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ বলেন, পূর্ব সদরদী গ্রামে ক্যাডেট স্কুল পরিচালনাকারী মোক্তার ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কিবরিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাত দলকে হায়ার করে নিজেরাই ডাকাতি সংঘটিত করে।
তিনি আরও বলেন, “ডাকাতরা ভাঙ্গা অঞ্চলে প্রবেশের বিষয়টি গোপন সংবাদ পেয়েছিলাম। সেই আলোকে আমাদের পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। ডাকাতদল পাটক্ষেতে লুকিয়ে থাকার কারণে ধরতে পারিনি। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”