বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। এতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে হাঁটুপানি জমেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র বটতলা থেকে চৌমাথা সড়ক, বগুড়া রোডের একাংশ, রাজাবাহাদুর সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে, নগরীর চৌমাথা সিএন্ডবি রোড সংলগ্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএম কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এছাড়াও বরিশাল নগরীর বটতলা থেকে চৌমাথা সড়ক, বগুড়া রোডের একাংশ, রাজাবাহাদুর সড়কসহ অলিগলিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
সিএনজি অটোরিকশার একজন চালক বলেন, পানির কারণে ব্যাটারি ও ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানি লেগে গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। মোটরে পানি ঢুকে সমস্যা হওয়ায় তা সারাতে পকেট থেকে টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া পানির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষজনও কম, তাই আয়ও কমেছে।
নগরীর বটতলা এলাকার এক জন জানান, যতই খাল খনন আর ড্রেন পরিষ্কার করুক, বটতলা থেকে চৌমাথা সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হয়ে বাজারসহ সব কাজই হাঁটুপানির মধ্যে করতে হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালের কীর্তনখোলাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এসব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও কিছুদিন বৃষ্টি থাকবে।