আলাদা করে পুষ্টিগুণ বিচার করতে গেলে দই ও কিশমিশ কারো চাইতে কেউ কম যায় না। আবার অন্যদিকে এই দুটি খাবার একসঙ্গে মেশালে সুপারফুডে পরিণত হয়। যা শরীর সুস্থ রাখতে এবং নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন আজ জেনে নেব দই ও কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী—
- মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর বদহজমের আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে হজমে সাহায্য করবে দই কিসমিসের মিশ্রণ। সেইসেঙ্গে পেটও ঠান্ডা রাখবে।
- নারীদের পিরিয়ডের কারণে পেটে ব্যথা হয়। এই সময় দই ও কিশমিশের মিশ্রণ খেতে পারেন। কিছুটা উপশম পাওয়া যাবে।
- দইয়ের মধ্যে কিশমিশ মিশিয়ে খেলে চুলের রুক্ষতা কমে আসে।
- দই ও কিশমিশ শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে দুর্বল করে দেয় এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। এর পাশাপাশি দই এবং কিশমিশ অন্ত্রের ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। কারণ দই প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, আবার কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমে সাহায্য করে।
- একটি বাটিতে পূর্ণ ফ্যাটের গরম দুধে কালো কিশমিশ ও আধা চামচ দই মিশিয়ে পান করুন। রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- দই ও কিশমিশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে। তাই হাড় ও জয়েন্ট মজবুত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সহায়ক।
- টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খেলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকবে। অন্যদিকে খাওয়ার পরে স্ন্যাক্স হিসেবেও খেতে পারেন দই কিসমিসের মিশ্রণ।