জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনার মাফরুহী সাত্তার পদত্যাগ করেছেন। নানান অভিযোগ তুলে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে তিনি নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমি হুট করে কোনও সিদ্ধান্ত নিই না। আমি কখনও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থার হুমকির কাছে মাথানত করিনি। আমি দলীয়, লোভে ও কোনও ব্যক্তিকে বিপদে ফেলতে সিদ্ধান্ত নিই না।
তিনি বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে অনেকে প্রশংসা করলেও আমি যখন সিদ্ধান্ত বা মতামত দিয়েছি তা বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন করা হয়েছে। জাকসু হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ফলাফল চাচ্ছে। কিন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সমগ্র প্রক্রিয়া যেভাবে বিতর্কিত করা হয়েছে- সেগুলো দূর করার জন্য যা বলা হয়েছে কোনোটাই করা হয়নি।
মাফরুহী সাত্তার বলেন, বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সভা ডেকেছেন। সভার মাঝে আমি নামাজ পড়তে গেছি, এসে দেখি ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। আমি বারবার বলেছি, যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করে আপাতত গণনা স্থগিত রাখা হোক। অভিযোগগুলো নিরসন করে শিক্ষার্থী ও সারা দেশ যেভাবে চেয়েছিল সেদিকে আমরা এগিয়ে যাই। কিন্তু আমি তাতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাকে গতকাল থেকে পীড়া দিয়ে এসেছে। এ জন্য আমি এখন বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি অনেকগুলো অনিয়ম দেখেছি। অনেকগুলো মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি। যেগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন করমিশনার সবাই একমত হলেও সেগুলো বাস্তবায়নে অপারগতা দেখিয়েছে। আসরের নামাজ পড়ে আসার পর ফল গণনা শুরু হয়ে যাওয়া দেখে আমি দ্বিমত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিত জানিয়েছি। এ অবস্থায় আমার পক্ষে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব চালিয়ে নেওয়া সম্ভব না। সে কারণে আমি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি।