• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৭ সফর ১৪৪৬

শরীরে ৭ পরিবর্তনে বুঝবেন আপনি কিডনি রোগের ঝুঁকিতে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
শরীরে ৭ পরিবর্তনে বুঝবেন আপনি কিডনি রোগের ঝুঁকিতে
ছবি : সংগৃহীত

কিডনি শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির রোগে সাধারণ কারণগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, ব্যথানাশক ঔষধের অতিরিক্ত ব্যবহার, জন্মগত ও বংশগত কিডনি রোগ, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ।

কিডনির সমস্যা শুরুর দিকে বুঝতে পারাটা কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে, কারণ অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে এর কোনো স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায় না। কিডনির সমস্যা পা ও হাতে  কিছু লক্ষণে প্রকাশ পায়। যে লক্ষণগুলি সনাক্ত করার মাধ্যমে কিডনি রোগের চিকিৎসা সম্ভব। 

কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ। 


১. হাত ও পা ফোলা

কিডনির সমস্যায় শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের হতে পারে না। এতে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।  এতে শরীরে পানি জমে গিয়ে হাত, পা, গোড়ালি ও পায়ের নিচের অংশ ফুলে যায়। এই ফোলাভাবের কারণে অস্বস্তিভাব  তৈরি হতে পারে। এ ধরনের ফোলাভাবে চামড়ায় চাপ দিলে দাগ পড়ে থাকে। এই ফোলাভাব আস্তে আস্তে তীব্র হয় এবং চোখ ও মুখে ছড়িয়ে পড়ে।


২. চেহারায় ফোলাভাব

কিডনির সমস্যা কারণে হাত ও পা ফুলে যায়। এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বড় দেখায়। এতে চেহারায় ফোলাভাব দেখা দেয়। বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পর বা দীর্ঘসময় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে চেহারায় এই ফোলাভাব দেখা যায়। তাই হাত বা পা কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিকভাবে বড় দেখালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

৩. ত্বকের গঠন এবং রং পরিবর্তন

কিডনি শরীরের বর্জ্য অপসারণ করে। কিডনির সমস্যার কারণে হাত ও পায়ের ত্বকে পরিবর্তন আসতে পারে। এতে ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা এবং র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এছাড়া ত্বক ফ্যাকাসে বা বিবর্ণ হতে পারে। কারণ কিডনির সমস্যার কারণে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

৪. পেশিতে টান

কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পায়ের মাংসপেশিতে খিঁচুনি, ব্যথা বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এতে পেশিতে অস্বস্তিকর টান বা তীব্র ব্যথা তৈরি করে, যা বেশির ভাগ সময় রাতের ঘুমের সময় দেখা যায়। কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই হাত, পা বা পিঠের পেশিতে অস্বাভাবিক টান বা খিঁচুনি হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

৫. আঙুলের নখের পরিবর্তন

কিডনি রোগের ফলে নখ এবং পায়ের নখের পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন– নখের অর্ধেক অংশ সাদা এবং বাকি অর্ধেক বাদামি হয়ে যায়। কিডনির দুর্বল স্বাস্থ্য রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। নখের অনিয়ম রক্তাল্পতার লক্ষণ হিসেবে কাজ করে, যা সাধারণত কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে।

৬. পা ও হাতে অবশভাব

কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে হাত ও পায়ে ঠাণ্ডা অনুভব হয় এবং অনেক সময় ঝিনঝিন, অসাড়তা বা অবশভাবও দেখা দেয়। 

৭. হাত ও পায়ে চুলকানি

ত্বকের চুলকানি কিডনি রোগের লক্ষণ। কিডনি ঠিকভাবে রক্ত পরিশোধন করতে না পারলে রক্তে বর্জ্য জমে গিয়ে ত্বকে তীব্র চুলকানি সৃষ্টি করে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Link copied!