ডাকসু নির্বাচনে এক প্রার্থীকে শুভকামনা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
ডাকসু নির্বাচনে এক প্রার্থীকে শুভকামনা জানালেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হলের বাইরে আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
পাঁচ বছর পর ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। ৭ সেপ্টেম্বর ছিল প্রচারের শেষ দিন। এখন ভোট উৎসবের পালা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শেষ দিনে চমক নিয়ে এসেছেন ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মুহাইমেনুল ইসলাম তকি। সুদূর পাকিস্তান থেকে এক ভিডিও বার্তায় তাকে শুভকামনা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় মিসবাহ-উল হক বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম তকি ভাই, আমি আশা করি আপনি ভালো আছেন। আপনার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে। আপনি অনেক ভালো ক্রিকেটার এবং ভালো মানুষ। আমার আশা আপনি ৯ সেপ্টেম্বর অনেক ভালো করবেন। সবাই আপনার সঙ্গে আছে। আমার তরফ থেকে আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া। ভালো থাকবেন, ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হবেন।’

এবারের ডাকসুতে সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়ছেন তকি। তিনি ঢাকা লিগ খেলা এবং জাতীয় স্পিন ক্যাম্পে অংশ নেয়া একজন ক্রিকেটার। ক্রীড়া সম্পাদক পদে তকি লড়ছেন আরও ১২ জনের সঙ্গে।

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনায় আছেন তকি। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় এবং তানজিম হাসান সাকিবের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

ডাকসু নির্বাচনের শুরুতেই ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী জহিন হোসেন জামি নামে এক প্রার্থীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান তাওহীদ হৃদয় এবং তানজিম হাসান সাকিব। সেটা নিয়ে অভিযোগ করে তকি বলেন, ‘জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার সরাসরি একটি নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে বার্তা দিয়েছেন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত ছিল। ব্যক্তিগত পছন্দ থাকা স্বাভাবিক, তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এমন প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়া অনুচিত।’  

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে নারী ৬২ ও পুরুষ ৪০৯ জন। ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫ জন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামজোট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনটিতে নিজেদের প্যানেল দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও কয়েক শতাধিক। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হবে ভোট গ্রহণ।

Link copied!