নেপালের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন নেতা নির্ধারণ করতে সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার ‘জেন-জি’ প্রজন্মের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আবার আলোচনায় বসছে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
নেপালে তরুণদের দুই দিনের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। বিক্ষোভকে ঘিরে সর্বশেষ হিসাবে প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভ ও অলি সরকারের পতনের পর রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় সেনারা টহল দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এ বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বার্তা আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়লে ১৯ জন নিহত হন। এরপর সরকার সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। অবশ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও কে পি শর্মার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
নেপালে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রাজা রাম বাসনেট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রাথমিক আলোচনা চলছে এবং আজও তা চলবে।
বাসনেট নতুন অন্তর্বর্তী নেতা নিয়ে আলোচনার কথা বলছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’
নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০-এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৩ জন।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাঠমান্ডু ও এর আশপাশের এলাকায় দিনের বেশির ভাগ সময় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
তবে বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেপাল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু আছে।
বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রমন কুমার কর্ন। তাঁর সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছিলেন।
সুশীলা কারকি ভারতীয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল সিএনএন-নিউজ১৮-কে বলেন, ‘তারা আমাকে অনুরোধ করেছেন, আমি তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’