পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। নির্বাচন বর্জন করে দ্রুত পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমর্থিত প্যানেলগুলো।
ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনা ও নানা অসংগতির অভিযোগ উঠতে থাকে। ২১টি হলে ভোট গ্রহণ করা হয়। শুরুর দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুরের পর থেকে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টার পর কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারি থাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে সন্ধ্যার পরও ভোট গ্রহণ হয়েছে। রাত ১০টার দিকে হাতে ভোট গণনা শুরু হয়। শুক্রবার দুপুরে ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম।
একেক হলে একেক নির্দেশনা পালন, কোথাও ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আবার কোনো কেন্দ্রে হাতের আঙুলে অমোছনীয় কালি না দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা গেছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিতে থাকেন শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা।
৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হলো। ১১ হাজার ৭৪৩ ভোটারের মধ্যে আট হাজার তিনজন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদগুলোতে ৩৪০ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬২০ জন। ২১টি হলের ৩১৫ পদের মধ্যে ১৩১টিতে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এবং ৬৮টি পদ শূন্য থাকছে। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে ১৭৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ১৩২ ছাত্র ও ৪৫ ছাত্রী।
                
              
																
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
































