ঋতু পরিবর্তন ছাড়া স্বাভাবিক সময়েও অনেক দিন ধরে কাশির সমস্যা থাকে কারও কারও। এমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। দীর্ঘস্থায়ী কাশি সংবেদনশীল নিউরোপ্যাথির সঙ্গে সম্পর্কিত। ভিটামিন বি১২ (কোবালামিন) এর অভাব স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই গবেষকরা স্নায়ুকোষের বিকাশের জন্য ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা সারিয়ে তোলে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ভিটামিন বি১২-এর অভাব মোকাবিলা এবং দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা সমাধানে এই খাবারগুলো নিয়মিত খেতে হবে।
ডিম
ইউএসডিএ ডেটা বলে যে একটি বড় সেদ্ধ ডিমে ০.৬ এমসিজি ভিটামিন বি১২ থাকে। অন্যান্য বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি শক্তিশালী উৎসও এই ডিম। এটি দিনের যেকোনো সময়ের খাবার হিসেবেই শক্তিশালী। নিয়মিত ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
স্যামন ফিশ
ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম স্যামন ফিশে ৩.২ এমসিজি ভিটামিন বি১২ থাকে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনাকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। তাই দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যা থাকলে এই মাছ রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
ডাল
পুষ্টির সবচেয়ে সহজলভ্য উৎসের একটি হলো ডাল। ডাল দিয়ে যেকোনো খাবার তৈরি করা সহজ। এটি স্বাস্থ্যকর ও পরিপুষ্ট থাকার জন্য আপনাকে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। ভিটামিন বি১২-এর পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ডালের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোলা ভিটামিন বি১২ এর অন্যতম প্রধান উৎস।
দই
প্রোবায়োটিকের একটি দুর্দান্ত উৎস হলো দই। এর পাশাপাশি দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, যা বিপাক এবং স্নায়ু ও কোষের বিকাশে সাহায্য করে সংশ্লিষ্ট শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে আরও উন্নত করে।
বাদাম ও বীজ
আপনি যদি ভেজিটেরিয়ান হন তবে শরীরে ভিটামিন বি১২ এর অভাব এড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, তিলের বীজ ইত্যাদি রাখুন। বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি১২ পৌঁছে দেবে। এতে দীর্ঘস্থায়ী কাশির সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি সার্বিকভাবে সুস্থ থাকা সহজ হবে।