• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

যেসব খাবারে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ থাকবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
যেসব খাবারে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ থাকবে
ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা আমাদের গলার নিচে অবস্থিত। এটি হরমোন উৎপাদনের মাধ্যমে শরীরের বিপাকক্রিয়া, শক্তি উৎপাদন, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুম, তাপমাত্রা ও মানসিক অবস্থা সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা সাধারণত দুই ধরনের হয়। 
হাইপোথাইরয়েডিজম (হরমোন কম তৈরি হয়) এবং হাইপারথাইরয়েডিজম (হরমোন অতিরিক্ত তৈরি হয়)। এই দুটি অবস্থাতেই পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস থাইরয়েডের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে। কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে।

আয়োডিনসমৃদ্ধ খাবার

থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন একটি প্রধান উপাদান। আয়োডিনের ঘাটতি হলে হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দিতে পারে।আয়োডাইজড লবণ, সামুদ্রিক মাছ (টুনা, সালমন), সামুদ্রিক শৈবাল, ডেইরি জাতীয় খাবার (দুধ, দই, ছানা), ডিমের কুসুমে আয়োডিন পাওয়া যাবে। তবে  আয়োডিনের অতিরিক্ত গ্রহণও বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।

সেলেনিয়ামসমৃদ্ধ খাবার

সেলেনিয়াম থাইরয়েড হরমোনকে সক্রিয় করতে সহায়তা করে এবং গ্রন্থির প্রদাহ কমায়। সেলেনিয়ামযুক্ত খাবার বাদাম (বিশেষ করে ব্রাজিল নাট), ডিম, টুনা মাছ, মাশরুম, সূর্যমুখী বীজ এবং বাদামি চাল ও ডাল নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে।

জিংকসমৃদ্ধ খাবার

জিংক থাইরয়েডের হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে এবং হরমোন ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে।জিংকের উৎস রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন_ মাংস (গরু, খাসি), ডিম, শস্যদানা (সিজাম, কুমড়োর বীজ), দুগ্ধজাত খাবার।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল ও সবজি

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাইরয়েড গ্রন্থিকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। উপকারী ফল ও সবজি বেশি খেতে হবে। বেগুন, টমেটো, গাজর, ব্রকলি (সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো), ব্লুবেরি, আপেল, আঙুর, লেবু ও কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফল, গ্রিন টি খেতে হবে।

স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ওমেগা-৩

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাইরয়েডের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত করে।ওমেগা-৩ এর উৎস যেমন_ সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ), চিয়া সিড, আখরোট, জলপাই তেল খেলে উপকার পাওয়া যাবে। 

পর্যাপ্ত পানি ও হাইড্রেশন

থাইরয়েড হরমোন সঠিকভাবে কাজ করার জন্য শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ডাবের পানি বা লেবুপানি মাঝে মাঝে খেতে পারেন।

তবে থাইরয়েডের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Link copied!