• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৮ মুহররম ১৪৪৬

চবিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব, উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ নিয়ে শঙ্কা


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
চবিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশে বিলম্ব, উচ্চশিক্ষা ও চাকরির সুযোগ নিয়ে শঙ্কা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক, স্নাতকোত্তরসহ মোট চারটি সেশনের পরীক্ষার ছয় মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। যার কারণে শিক্ষার্থীরা চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। উচ্চশিক্ষা, বিদেশে স্কলারশিপ ও চাকরির বিভিন্ন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভাগীয় শিক্ষকদের অসহযোগিতা, মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ফল প্রকাশে এ ধরণের দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিএ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা গত ৩০ ডিসেম্বর, তৃতীয় বর্ষের ১২ জানুয়ারি, চতুর্থ বর্ষের ২১ ডিসেম্বর এবং মাস্টার্সের ২৬শে জানুয়ারি শেষ হয়। কিন্তু, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ছয় মাস পেরুলেও এখনো মিলছে না ফলাফল।

বিভাগের মাস্টার্সের মাসুদ নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা পরীক্ষা দিয়েছি প্রায় ছয় মাস হয়ে গেল, কিন্তু এখনো ফলাফল নেই। অনেকেই চাকরির আবেদন করতে পারছে না, আবার অনেকে স্কলারশিপের ডেডলাইন মিস করছে। এটি খুবই হতাশাজনক। আবার অনেকেই এই কারণেই এখানে মাস্টার্স না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য জায়গায় চলে গেছে। আমরা চাই রেজাল্টা দ্রুত হলে অন্তত আমরা চাকরির জন্য আবেদনগুলো করতে পারতাম।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হয়, সেখানে চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে বছরের পর বছর এমন বিলম্ব লেগেই আছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেন কেউ ভাবছে না।”

১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোফায়েল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম আরো কয়েক মাস আগে আমাদের রেজাল্ট দেবে। কিন্তু স্যাররা এখনো দিচ্ছেন না। এতে করে আমরা অনেক সার্কুলারে আবেদন করতে পারছি না। একে তো করোনা এবং জুলাই অভ্যুত্থানের কারণে অনেক সময় গ্যাপ হয়ে গেছে, আবার এই ফলাফলের জন্য আমাদেরকে হতাশায় দিন কাটাতে হচ্ছে।“

এদিকে ফল প্রকাশে এই ধরণের অনিশ্চয়তা এবং বিলম্বের প্রভাব শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনেই নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপরও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও শিক্ষাবিদরা।

এ বিষয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এ কে এম মাহফুজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এটা পরীক্ষা কমিটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন। ভালো হয় আপনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখায় যোগাযোগ করেন।”

Link copied!