• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কাঁচা মরিচের যত গুণ


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২, ০৫:০১ পিএম
কাঁচা মরিচের যত গুণ

আপনি কি জানেন, বোটানিক্যাল শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে কাঁচা মরিচ আসলে ফল? আরও স্পষ্ট করে বললে এটি আসলে বেরিজাতীয় ফল। মজার না? এর ঝাঁজালো স্বাদ এবং রঙের জন্যই বেশির ভাগ মসলাদার খাবারেই ব্যবহার করা হয়। মরিচে থাকে বিভিন্ন ভিটামিন। যেমন ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-কে। সেই সঙ্গে এতে থাকে মিনারেল। যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, পটাশিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, কপার ইত্যাদি। যে কারণে প্রতিদিনের খাবারে মরিচ রাখা জরুরি। জেনে নিন কোন ৫ কারণে প্রতিদিন মরিচ খাওয়া জরুরি।:

মেদ কমায় এবং স্থূলতা প্রতিরোধ করে

মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান ঝাল স্বাদ সৃষ্টি করে। এর আছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। ক্যাপসাইসিন হলো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ও স্থূলতা প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত মরিচ খেলে তা মেদ কমায় এবং সেই সঙ্গে আপনাকে পৌঁছে দেয় কাঙ্ক্ষিত ওজনের লক্ষ্যে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাতের ব্যথা কমাতেও সমানভাবে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি এবং বজায় রাখার জন্য কাঁচা মরিচ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ক্যাপসাইসিনে আর আরও আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে কাজ করে।

বয়স ধরে রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

কাঁচা মরিচ অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (ভিটামিন-সি) এর অন্যতম উৎস। অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। অধিক পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা প্রতিহত করতে পারে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেশন, অ্যান্টি-অ্যালার্জি ও অ্যান্টি-অক্সিডেশন বৈশিষ্ট ত্বকের কোষ ভালো রাখে।

হার্ট ভালো রাখে

ক্যাপসাইসিনের অনেকগুলো ফার্মাকোলজিকাল সুবিধা রয়েছে। এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। মরিচের সবুজ রং ক্লোরোফিল এবং ক্যারোটিনয়েডের সংমিশ্রণ। ক্যারোটিনয়েড আলো এবং অক্সিজেন থেকে শরীরের টিস্যুকে সুরক্ষা দিতে পারে। নিয়মিত মরিচ খেলে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

ক্যানসার দূরে রাখে

ভারতের মনিপাল হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বৈশালী ভার্মা বলেন, “বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যেমন ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হলো কাঁচা মরিচ। এসব উপাদানের রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। ক্যাপসাইসিনের কেমো-প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে কাঁচামরিচ খেলে তা বিভিন্ন ক্যানসার কোষ, যেমন স্তন ক্যানসার, প্রোস্ট্যাটিক ক্যান্সার, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে কোষ বৃদ্ধির প্রতিরোধে করতে কাজ করে।”

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

Link copied!