• ঢাকা
  • রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

টানা ৩০ দিন কাঁচা রসুন খেলে শরীরে কী ঘটে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
টানা ৩০ দিন কাঁচা রসুন খেলে শরীরে কী ঘটে?

রসুন—খাবারের স্বাদে সুগন্ধি, কিন্তু কাঁচা খেলে অনেকের কাছে অসুবিধার। তবে গবেষণা বলছে, যদি আপনি টানা ৩০ দিন প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন খান, তবে আপনার শরীরে কয়েকটি চরম পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।

কেন কাঁচা রসুন?

প্রাচীনকাল থেকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত রসুনে রয়েছে সালফার-যুক্ত যৌগ, যা কাঁচা খেলে রক্ষা পায়। রান্নার সময় এই উপাদানগুলো হ্রাস পায়, তাই কাঁচা খাওয়ায় তার স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি।

শরীরের উপকারিতা

  • রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রসুনের অ্যালিসিন জীবাণু, ভাইরাস ও ছত্রাক রোধ করে, ফলে সর্দি-কাশি বা সংক্রমণ কমে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তি: বার্ধক্য, প্রদাহ এবং মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা কমাতে সহায়ক।
  • হজম ও ডিটক্স: সালফার উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
  • ত্বকের যত্ন: ব্রণ কমে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হতে পারে।

প্রথম ৭–১০ দিন

  • নিঃশ্বাসে তীব্র গন্ধ আসতে পারে।
  • পেটে সামান্য অস্বস্তি বা গ্যাস অনুভূত হতে পারে।

২০–৩০ দিনের মধ্যে

  • উচ্চ রক্তচাপ বা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
  • ত্বক আরও পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম

  • রসুন থেঁতলে বা কুচি করে ৫–১০ মিনিট রেখে খেলে সক্রিয় যৌগগুলো তৈরি হয়।
  • সালাদ, দই বা সামান্য মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • শুরুতে অর্ধেক কোয়া দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে পূর্ণ কোয়া পর্যন্ত বাড়ানো যায়।

সতর্কতা

  • নিঃশ্বাসে বা শরীরে তীব্র গন্ধ স্বাভাবিক।
  • সংবেদনশীল হজমতন্ত্রের জন্য পেটে গোলমাল বা বুকজ্বালা হতে পারে।
  • রক্তপাতের ঝুঁকি: যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান বা অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করছেন, তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • গর্ভবতী বা স্তন্যদানরত মায়েদের প্রথমে বিশেষ পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে বেশিরভাগ সুস্থ মানুষের জন্য ক্ষতি কম, এবং এটি হৃদপিণ্ড, রক্তনালী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সহায়ক। তবে এটি কোনো অলৌকিক সমাধান নয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম ও সুষম খাদ্য গ্রহণের সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া সর্বোত্তম। সূত্র: এনডিটিভি

Link copied!