• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন যমজ দুই বোন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন যমজ দুই বোন

এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রংপুরের মেধাবী দুই যমজ বোন হাফসা ইসমাত নাজাহ ও হাজ্জা ইসমাত নুবাহ। একজন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও অন্যজন নীলফামারী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। একসঙ্গে পৃথিবীর আলো দেখা এই জমজ দুই বোন এবার একই সঙ্গে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গড়েছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। একই পরিবারের দুজন মেডিকেল ভর্তিতে সুযোগ পাওয়ায় খুশির বন্যা বইছে পরিবারে। সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীরহাটের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মণ্ডল পরিবারে জন্ম নাজাহ ও নুবাহর। তাদের বাবা মোতাহার মণ্ডল মাতা শাহানাজ বেগম। নাজাহ ও নুবাহ মিঠাপুকুর মডেল সরকারি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি জিপিএ ফাইভ পেয়ে পাশ করেন। এবারে তারা একজন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও অন্যজন নীলফামারী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন।

এদিকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মণ্ডল পরিবারে এখন উৎসবের আমেজ। পরিবারের সবার স্বপ্ন পূরণ করে দুই বোনই নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন দেশের অন্যতম কঠিন এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। ছোট থেকেই দুজন বিভিন্ন পরিক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তারা। সেই ধারাবাহিকতায় এবারে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন তারা।

গ্রামের সাধারণ পরিবেশ থেকে উঠে এসে দুই বোনের এই অভাবনীয় সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের জন্যই নয়, বরং পুরো মিঠাপুকুর তথা রংপুরের জন্য গর্বের বিষয় বলে জানান এলাকাবাসী। নাজাহ ও নুবাহ প্রমাণ করেছেন যে কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো বাধাই সাফল্যের পথে অন্তরায় হতে পারে না। সফলতা অর্জনকারী নাজাহ ও নুবাহ ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চান। আল্লাহ তায়ালা তাদের দ্বীন ও দুনিয়া উভয় জগতেই কামিয়াবি দান করুন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

মেয়েদের এমন সাফল্যে আবেগাপ্লুত বাবা মোতাহার মণ্ডল বলেন, আমার দুই মেয়ে ছোটোবেলা থেকেই মেধাবী ছিল। তাদের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা। আল্লাহ তাদের সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি সবার কাছে ওদের জন্য দোয়া চাই। আমার দুই মেয়ে যেন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে পারেন।

হাফসা ইসমাত নাজাহ ও হাজ্জা ইসমাত নুবাহর দাদা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাজাহান আলী মণ্ডল বলেন, আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল কেউ চিকিৎসক হোক। সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছে আমার এই দুই নাতনি। আমিসহ আমাদের পরিবারের লোকজন সবাই খুশি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই তাদের জন্য।

রংপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ফিরোজুর রহমান বলেন, রংপুর সরকারি কলেজ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে বরাবরই ভালো ফলাফল করছেন। বিগত সময়ে প্রচুর শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পান। সেই ধারাবাহিকতায় নাজাহ ও নুবাহ যমজ দুই বোন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। যা সত্যি আনন্দের খবর। তাদের ফলাফল আমাদের গর্বিত করেছে।

Link copied!