• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

পিসিওএস সমস্যা থাকলেও যেভাবে সন্তান নেওয়া যাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২১, ০১:২৭ পিএম
পিসিওএস সমস্যা থাকলেও যেভাবে সন্তান নেওয়া যাবে

বর্তমান নারীদের সাধারণ সমস্যা পিসিওএস। অল্প বয়সেই অনেকে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পিসিওএস সমস্যায় উচ্চ প্রজেস্টেরন স্তরের কারণে একজন নারীকে গর্ভবতী হতে বাধা দেয়। সাধারণত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডিম্বাশয়ে সিস্টের গঠনের ফলেই এটি ঘটে। নারীদের গর্ভধারণে কঠিন করে তোলে এই সমস্যা। তবে এর প্রতিকারও রয়েছে। এর জন্য় জীবনযাত্রার কয়েকটি পরিবর্তন প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের গর্ভবতী হতে সাহায্য় করে।

পিসিওএস থাকা সত্ত্বেও নারীরা কীভাবে গর্ভবতী হতে পারেন, এই নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মত দিয়েছেন। গাইনিকোলোজিস্টদের মতে, পিসিওএসসহ কোনও নারী গর্ভধারণে সহায়তা করতে পারে বেশ কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন। গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো পিসিওএস-সমস্যা কমাতে পারে তা জানবো এই আয়োজনে। 

লাইফস্টাইল পরিবর্তন করুন

শরীরে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য স্বাস্থ্যকর খেতে হবে। নিয়মিত ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অ্যালকোহল ও ধূমপানকে বর্জন করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন পরিপূরক গ্রহণ করতে পারেন। যা আপনার হরমোন ও ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। গর্ভধারণে বেশ সহায়ক হবে।

স্ট্রেস নেওয়া যাবে না

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নেওয়া বন্ধ করতে হবে। মানসিক চাপ থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বাড়তে পারে। চেষ্টা করুন মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার। হাঁটার অভ্যাস করুন। ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। সব সময় হাসিখুশি থাকুন।

কাজের মধ্যে সক্রিয় থাকুন

অলস জীবনধারাকে বিদায় জানান। কোনোভাবেই ওজন বাড়ানো যাবে না। ইনসুলিন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা করুন, সাঁতার কাটতে পারেন। ঘরের কাজকর্ম অন্যদের দিয়ে না করিয়ে নিজেই করুন। শারীরিকভাবে সক্রিয় হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে।

অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন

অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। গর্ভধারণের সম্ভাবনা কখন বেশি, তা আপনাকে জানিয়ে দেবেন চিকিৎসকই। গর্ভবতী হওয়ার জন্য পিসিওএসের চিকিৎসায় কী করতে হবে, তা-ও জানাবে চিকিৎসক। নির্দিষ্ট ধরনের ওষুধ দেবেন। যা আপনার ডিম্বাশয়কে দমন করে এমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিরাময়ে সহায়তা করবে।

ক্রোমিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের স্তর

দেহে ক্রোমিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের নিম্ন স্তরের ফলে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। এই দুটি খনিজসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। খাদ্য পরিপূরক গ্রহণ করতে হবে। যা কোনো নারীকে গর্ভধারণে সহায়তা করতে পারে।

ইনসুলিন প্রতিরোধী খাবেন না

ইনসুলিনের প্রতিরোধের কারণ হতে পারে এমন খাবার গ্রহণ বন্ধ করুন। এতে শরীরের ওজন ও রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। সাদা পাউরুটি, চাল, আলু, কোমল পানীয়, পরিশোধিত শর্করা এড়িয়ে চলুন।

শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েট

পিসিওএস চিকিৎসা ওষুধে হয়, আবার আকুপাংচার এবং সার্জারি করেও সারানো সম্ভব। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে এই রোগ নিরাময়ে সবুজ শাক এবং স্টার্চবিহীন শাক খেতে পারেন। ফলমূল ও বাদামসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খান। এসব খাবার দেহে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করতে সহায়তা করে। হরমোন ভারসাম্যহীনতা নিরাময় করে। গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ভিটামিন ডির ঘাটতি নিরাময়

গর্ভধারণের জন্য ভিটামিন ডি সর্বোত্তম পরিসরে থাকতে হবে। ভিটামিন ডির পেছনে কারণটি হলো ফলিকলের ডিম্বাণুর পরিপক্বতা এবং বিকাশের সঙ্গে এটি সরাসরি জড়িত। গর্ভবতী হতে চাইলে ভিটামিন ডি পরিপূরক খাবার খাবেন। ভোরের রোদে প্রতিদিন আধা ঘণ্টা বাইরে হাঁটুন।

ডায়েটে ওমেগা-৩

ডায়েটে ওমেগা-৩ লেপটিন প্রতিরোধক ও ইনসুলিন প্রতিরোধক সমস্যাগুলোসহ অনেকগুলো মেডিকেল ইস্যু নিরাময়ে সহায়তা করে। যা নারীদের পিসিওএসের প্রধান কারণ। পিসিওএস আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে কর্টিসল স্তর হ্রাস করার জন্য এটি একটি ভালো চিকিৎসা।

 

সূত্র: পিসিওএস নিউট্রিশন ডট কম

Link copied!