• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

তোকমা দানায় ৮ সমাধান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০২:৪৯ পিএম
তোকমা দানায় ৮ সমাধান

যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা তোকমার সঙ্গে বেশ পরিচিত। কালো রঙের ছোট বীজটি ভিজিয়ে শরবতে মিশিয়ে খাওয়া হয়। বিশেষ করে তীব্র গরমে প্রশান্তি দেয় তোকমা। সেই সঙ্গে পেটের সব অসুখ থেকে পরিত্রাণ দেয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার তোকমা বীজের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।

পুষ্টিগুণে ভরা তোকমায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পাশাপাশি ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিডের অন্যতম একটি ভালো উৎস এটি। এছাড়াও তোকমা বীজে আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ম্যাগনেসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন সি।

পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তোকমা দানা খাওয়ার কিছু উপকার সম্পর্কে জানাব এই আয়োজনে।

ওজন কমায়

তোকমা দানাতে থাকে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড। যা ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমায়। যা আমাদের খাওয়ার চাহিদা কমিয়ে শরীরকে নির্দিষ্ট ওজন ধরে রাখতে সহায়তা করে।

রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

তোকমা দানা দেহের বিপাকের গতি ধীর করে দেয়। কার্বসকে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।

রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ

তোকমা দানা নিয়মিত সকালে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শরীর ঠাণ্ডা রাখে

প্রচন্ড গরমে তোকমার শরবত খান। দেহের তাপমাত্রা কমাতে এটি দারুণ সহায়তা করে। শরীরকে শীতল রাখবে। ডি-হাইড্রেশনের সমস্যা হবে না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ:

পানি কম খাওয়ার কারণে কিংবা শরীরে পানির মাত্রা কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তোকমা দানা পানিতে ভিজিয়ে খেলে খুব সহজে সমাধান পাওয়া যায়। 

অ্যাসিডিটি দূর হয়

তোকমা দানা অ্যাসিডিটি দূর করে। শুধু তাই নয়, পেটের এসিড নিয়ন্ত্রণ করে জ্বালাপোড়া ভাবও দূর করে। এ জন্য পানিতে সামান্য তোকমা বীজ ভিজিয়ে পান করুন।

কাশি ও সর্দি নিরাময়

তোকমা দানা আমাদের স্পাসাম্যাটিক পেশীগুলোকে প্রশমিত করে শিথিল করতে সহায়তা করে। যার ফলে কাশি বা ঠান্ডাজনিত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। পাশাপাশি তোকমা দানা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

ত্বক-চুলের যত্ন

ত্বকের সমস্যা সমাধানে তোকমা ব্যবহার হয়। তোকমা বীজ গুঁড়ো করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মাখিয়ে ত্বকে লাগালে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এটি ত্বককে সতেজ রাখে। তোকমাতে থাকা ভিটামিন-কে, আয়রন ও প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেয়। চুলের গোড়াকে মজবুত করে এবং দ্রুত চুলকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

 

সূত্র: হেলদি ফেইম

Link copied!