• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামের দুই আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
কুড়িগ্রামের দুই আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যত্রতত্র পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে। ছবি : প্রতিনিধি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কুড়িগ্রাম-৩ ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আচরণবিধি উপেক্ষা করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগসহ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কেউ স্কুল ও হাসপাতালের দেয়ালে, কেউ হাট-বাজারগুলোর টিনের বেড়ায়, কেউবা গাছে পোস্টার সাঁটাচ্ছেন। কয়েকজন দুপুর ২টার আগে এবং রাত ৮টার পরেও মাইকিং করছেন।

ছোট-বড় অনেক যানবাহনেও সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, ব্যানার। যেসব ব্যানার সড়কের ওপর সুতা দিয়ে ঝুলানো হয়েছে, সেখানে পোস্টারের ওপর দিয়ে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের আবরণ। রাজিবপুর বাজারসহ কয়েকটি জায়গায় সড়ক দখল করে নির্বাচনী ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি হরহামেশাই চলছে মোটরসাইকেলের বিশাল মহড়া।

সরেজমিনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উলিপুর বাজার, দুর্গাপুর বাজার,পাঁচপীর, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের চিলমারী নৌ-বন্দর, চিলমারী বাসস্ট্যান্ড, রৌমারী উপজেলা পরিষদ, রৌমারী বাজার, কর্তিমারি বাজার, যাদুরচর ইউনিয়ন, চর রাজিবপুর বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রার্থীরা প্রায়শই নির্বাচনী আচরণবিধি আইন লঙ্ঘন করে প্রচার চালাচ্ছেন। এসব তদারকির দায়িত্বে থাকা নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটদেরও কার্যকরী শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

নির্বাচক বিশ্লেষক ও কুড়িগ্রাম সনাকের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলমগীর বলেন, “কুড়িগ্রামের এ দুটি আসনে হরহামেশাই চলছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা। দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। প্রার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রচারণা চালাচ্ছেন।”

আচরণবিধি মানছেন না কেন, জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ফারুকুল ইসলাম বলেন, “আমি কি একাই নিয়ম ভঙ্গ করছি। আরও তো সবাই দেয়ালে, টিনের বেড়ায় পোস্টার লাগিয়েছে। তাদের কাছে কি জানতে চাইছেন। আমাকে কেন বলছেন।”

বাংলাদেশ কংগ্রেসের কুড়িগ্রাম-৪ আসনের প্রার্থী আব্দুল হামিদ বলেন, “দেয়ালে পোস্টার লাগানোর বিষয়টা আমার জানা নেই। এটি ভুল হয়েছে। আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি।”

কুড়িগ্রাম ৩ আসনের নৌকার প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে বলেন, “ওয়ালে বা গাড়িতে কে পোস্টার লাগিয়েছে তা জানি না। তবে এটা বিরোধী পক্ষের কাজ। আমার কর্মীর কাজ নয়।”

এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম সাইফুর রহমান ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপ্লব হাসানকে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটরা কঠোরভাবে তদারকি করছেন। পাশাপাশি প্রার্থীদের সতর্ক করাসহ দেয়াল থেকেও অনেক পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, “আমাদের ৪টি আসনেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে কাজ করছে। যেসব নির্দিষ্ট এলাকাগুলো জানলাম এখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
 

Link copied!