• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বর্ণবৈষম্যের শিকার এনটিনির মনে ছিল মৃত্যুর ভয়ও


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম
বর্ণবৈষম্যের শিকার এনটিনির মনে ছিল মৃত্যুর ভয়ও
পুত্র থান্ডোর সঙ্গে এনটিনি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ফাস্ট বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার মাখায়া এনটিনি। টেস্টে ৩৯০টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৬৬টি উইকেটের মালিক  এনটিনিকে মাঠের বাইরেও একটা লড়াই করতে হয়েছিল। আর সেটা দলের মধ্যে। দলে প্রায়ই একঘরে হয়ে থাকতেন তিনি। প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠতো  সবমিলিয়ে ৬৫৬ উইকেটের এই মালিকের। তার একমাত্র কারণ, বর্ণবৈষম্য।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার ছিলেন এনটিনি। তার কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন এনটিনির ছেলে থান্ডো। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দলে সব সময় নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য বাবাকে লড়তে হত। দলে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে বাবাকে। দলে একঘরে করে রাখা হয়েছিল বাবাকে। এতো ভালো একজন ক্রিকেটারের অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য ছিল। বাবা সেটা পাননি।’

শুধু থান্ডো নন, ২০২০ সালের একটি সাক্ষাৎকারে নিজের খেলোয়াড় জীবনের কথা জানিয়েছিলেন এনটিনি নিজেও। তিনি বলেন, ‘আমি দলে সবসময় একা থাকতাম। কেউ আমাকে খেতে যেতে বলত না। দলের সবাইকে দেখতাম আমার সামনেই নানা রকম পরিকল্পনা করছে। ঘুরতে যাচ্ছে। কিন্তু আমাকে কেউ আমন্ত্রণ করত না। এমনকি, খাবার টেবিলে আমার কাছেও কেউ বসত না।’

এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে দলের বাকিদের সঙ্গে এক বাসে যেতেও ভয় পেতেন এনটিনি। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতাম বাসের চালক কে আছে? তার কাছে আমার ব্যাগ দিয়ে দিতাম। তারপর হোটেল থেকে দৌড়ে মাঠে চলে যেতাম। মাঠ বেশি দূরে হলে অন্য কোনও গাড়ি ভাড়া করে যেতাম। ফেরার সময়ও সেটাই করতাম।’

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ নতুন নয়। কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হতো। যদিও এখন দলের কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারের সংখ্যা অনেক বেশি। 
 

Link copied!