নিজের অভিষেক ম্যাচ, তার উপরে শেষ ১১ ম্যাচে জয়হীন ইন্টার মিয়ামি। ১২তম ম্যাচে এসে মিয়ামির আবার হয়তো পরাজয়ের স্বাদ পেতে হতো না। ম্যাচটা এগিয়ে যাচ্ছিলো ড্রয়ের দিকে। সেখানেই মেসির পুরানো ঝলক নতুন করে দেখালো। অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিকে দর্শনীয় গোল করে রাঙ্গালেন অভিষেক, ইন্টার মায়ামিকে এনে দিলেন অধরা জয়। আর তাইতো ম্যাচ জয়ের পর দারুণ খুশি মেসি বলেন এমন একটা শুরুই করতে চেয়েছিলাম আমি।
ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। তখন পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল মায়ামি। কিন্তু মেসি মাঠে নামার ১২ মিনিট পর সমতায় ফেরে মেক্সিকান ক্লাব ক্রুস আসুল। ড্রয়ের দিকে এগোতে থাকা ম্যাচটির দৃশ্যপট বদলে যায় ইনজুরি টাইমে। ফ্রি কিকে চোখধাঁধানো এক গোল করে নিজের অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন মেসি।
ম্যাচ শেষে গোলটি নিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমার হাতে শেষ একটা সুযোগ ছিল। সবসময়ের মতো আমি এবারও চেষ্টা করেছিলাম। সৌভাগ্যবশত তা জালে প্রবেশ করে, গোলকিপার নাগাল পায়নি এবং লিগে আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, তাতে এই জয়টা অনেক আনন্দের। আত্মবিশ্বাস জোগানোর জন্য আমাদের জেতা শুরু করতে হবে, হোক সেটা আলাদা এক চ্যাম্পিয়নশিপে। ’
মেসির অভিষেক দেখতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল স্টেডিয়াম। এমনকি তারকাদের ঢল নেমেছিল গ্যালারিতে। বাক্সেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস, টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস মিডিয়া তারকা কিম কার্দাশিয়ান আরও অনেকেই হাজির হয়েছিলেন মেসির অভিষেককে ক্যামেরাবন্দী করতে।
এমন উৎসাহ পাওয়ার পর মেসি বলেন, ‘আমি এখানে এসে খুবই আনন্দিত। এ জায়গা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে আমি নিজেই বেছে নিয়েছি। এখানকার মানুষকে আবারও ধন্যবাদ, যাঁরা একইভাবে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। আমরা চাই, সারা বছর তারা আমাদের সঙ্গ দেবেন। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
আপনার মতামত লিখুন :