• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মেসিদের ম্যাচ দেখতে মিথ্যা অজুহাত, চাকরি গেল তরুণীর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০১:২৩ পিএম
মেসিদের ম্যাচ দেখতে মিথ্যা অজুহাত, চাকরি গেল তরুণীর
ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন অদ্ভুত সব প্লাক্যার্ডের দেখা মেলে গ্যালারিতে। ‘মা জানে আমি স্কুলে, কিন্তু আমি এখানে’, ‘আমাকে ক্যামেরাতে দেখাবেন না, আমি মিথ্যা বলে মাঠে আসছি’ এ রকম সব প্লাক্যার্ড নিয়ে মাঠে আসেন অনেকে। এগুলোকে ক্যামেরার লেন্স আকর্ষণের কৌশল বলে মনে করলেও এবার মিথ্যা বলে খেলা দেখতে আসায় সত্যিই চাকরি হারিয়েছেন ২১ বছর বয়সী হুইলেন বারবিয়েরি।

বিশ্বকাপ জেতার পর গতকালই প্রথম কোনো ম্যাচ খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সে মুহূর্ত কিছুতেই মিস করতে চাননি হুইলেন। তবে খেলা দেখার জন্য অফিস থেকে ছুটিও মিলছিল না। অগত্যা অফিসে মিথ্যা বলে হাজির হন পানামার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচে।

মাঠে গিয়েছে সাক্ষী হয়েছেন লিওনেল মেসিদের উদযাপনের। পরে পানামার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ের আনন্দও ভাগ করে নিয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। কিন্তু ম্যাচ শেষে অবশ্য বড়সড় দুঃসংবাদ পেয়েছেন তিনি। তার চাকরিটাই চলে গেছে।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুইলের দেশটির সান্তা ফে শহরের পৌরসভার অন্তর্গত ইভা পেরন হেলথ সেন্টারে কাজ করতেন। মেসিদের ম্যাচ দেখার জন্য অসুস্থতার ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।

তবে তার মিথ্যা বলাটা অফিস ধরতে পারত না, যদি তিনি আবেগের বশে ভুলটা না করতেন। খেলার পর জয়ের আনন্দে আরেক আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসে মিথ্যা অযুহাত দেখিতে ছুটি নেওয়ার গল্প বলে দিয়েছেন তিনি।

মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে হুইলের দেওয়া সাক্ষাৎকারটা মুঠোফোনে দেখা যায়। তার কাছে ওই সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, কী ফেলে এসেছেন। উত্তরে স্প্যানিশ ভাষায় বলেন, ‘লাবুরো’ অর্থাৎ কাজ ফেলে এসেছেন বলে জানান তিনি।

এরপর আসলে তিনি যেটা বললেন তাতে সেটাকে নিজের পায়ে কুড়াল মারা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি অনবরত বলে যান, “রোলিকে শুভেচ্ছা। তিনি আমার বস। হয়তো এখন আমাকে টিভিতে দেখছেন। একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট তিনি পেয়েছেন। কিন্তু আমি ভালো আছি। ডায়রিয়া হয়েছিল কিন্তু নিশ্চিত থাকুন এটা ঠিক হয়ে যাবে।”

রোলি শুধু হুইলেনের বস নন ওই শহরের মেয়রও। একই সময় রোলির কাছে দ্বিগুণ কাজ করে দেওয়ার শপথ করেন হুলিয়ার।

তিনি বলেন, “জাদুবলে আমি বন্ধুদের নিয়ে মনুমেন্তালে উপস্থিত হতে পেরেছি। রোলি, শপথ করে বলছি, দ্বিগুণ কাজ করে দেব। শুধু আমাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া উপভোগ করতে দাও।”

এ সময় তার কাছে চাকরি চলে গেলে কী হবে, জানতে চাওয়া হলে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলেন, সেটা কাল দেখা যাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, পরের দিনই তিনি বরখাস্ত হয়েছেন।

হুলিয়ার বরখাস্ত হওয়া নিয়ে আর্জেন্টিনার রেডিও অনুষ্ঠান ‘তোদোস এন লা ওচো’য় রোলি বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে সে এখন আর পৌরসভার অধীনে কাজ করে না। কী ঘটেছে তা জানার পর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে আমাদের সঙ্গে আর কাজ করবে না, এটা কষ্টের। সে আমার ব্যক্তিগত সচিবের বোন। করোনা মহামারির সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। আমার অধীনেই পৌরসভায় ঢুকেছিল। কিন্তু সে এমন ভুল করেছে যে জন্য খেসারত দিতেই হবে।”

যদিও এরপর মেয়র রোলির কাছে ক্ষমা ছেয়েছেন মেয়েটি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি   চাকরি ফিরে পাবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

Link copied!