• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
হকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

সাকিবের দলকে হারিয়ে হকির প্রথম শিরোপা চট্টগ্রামের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম
সাকিবের দলকে হারিয়ে হকির প্রথম শিরোপা চট্টগ্রামের

দেশের হকি ইতিহাসে প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজির টুর্নামেন্টের ফাইনালে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের দল মোনার্ক মার্ট পদ্মাকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো একমি চট্টগ্রাম। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে কেউই জয় আদায় করতে পারেনি। এরপর পেনাল্টি থেকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।

ম্যাচের ৫৮ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল মোনার্ক। তবে খেলা শেষ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে গোল করে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফেরান আরশাদ হোসাইন।

তবে ম্যাচ  শেষ হওয়ার ৪২ সেকেন্ড আগে ঘটে আরেক দফা নাটক। পেনাল্টি কর্ণার থেকে চট্টগ্রাম গোল করলেও তার আগে পায়ে বল লাগায় গোল বাতিল করে দেন রেফারি।

এরপর চট্টগ্রাম রিভিউ নিলেও রেজাল্ট পাল্টায়নি। এরপরউ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের খেলোয়াড়রা। রেফারিকে কয়েক দফায় কার্ডও দেখাতে হয়েছে। এক পর্যায়ে তো আর খেলতেই অস্বীকৃতি জানায় চট্টগ্রাম।

এরপর আট মিনিটের ব্যবধানে রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে চট্টগ্রাম আবার মাঠে নামলে খেলা শুরু হয়। এরপর আট সেকেন্ড বাকি থাকতে পেনাল্টি কর্ণার পায় মোনার্ক। তবে সেটা কাজে না লাগাতে পারায় নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ড্র-তে।

পেনাল্টি শটে দুই দলই প্রথম তিন শটে উভয় দল গোল পেলেও চতুর্থ শটে মিস করেন মোনার্কের নাঈম। এরপরের শটে আবারও মোর্নাক মিস করলে জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের।

 এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) প্রথম হকি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ফাইনালে শুরু  থেকেই চট্টগ্রামের রক্ষণে হামলে পড়ে মোনার্ক। প্রথম কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ম্যাচের ১৪তম মিনিটে দারুণ এক গোল করে মোনার্ককে লিড এনে দেন জাপানিজ খেলোয়াড় মিআ তানিমিতসু।

লম্বা সময় পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচের ৪২তম মিনিটে সমতাসূচক গোলের দেখা পায় চট্টগ্রাম। দুর্দান্ত এক গোলে চট্টগ্রামকে খেলায় ফেরান আরশাদ হোসেন।

তবে সমতায় ফেরার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি চট্টগ্রামের। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল হজম করে দলটি। ভারতীয় খেলোয়াড় সাইফ খানের গোলে আবারও লিড পায় মোনার্ক।

এরপর যত সময় ঘনিয়েছে ততই মোনার্কের জয়ের সম্ভাবনা বেড়েছে। তবে নাটকীয়চভাবে ম্যাচের চার মিনিট বাকি থাকতে আবারও সমতায় ফেরা চট্টগ্রাম। ম্যাচে নিজের জোড়া গোল করে চট্টগ্রামকে আরও একবার ম্যাচে ফেরান আরশাদন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে কোনো ফল না আসলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। প্রথম তিন শটে দুই দল গোল করলেও চতুর্থ শটে মিস করে বসেন মোনার্কের নাঈম। এরপর পঞ্চম শটেও মোনার্ক গোল করতে ব্যর্থ হলে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে চট্টগ্রাম।

Link copied!