• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চাঁদের মাটিতে জন্মাল চারাগাছ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২২, ১২:৪০ পিএম
চাঁদের মাটিতে জন্মাল চারাগাছ

প্রথমবারের মতো চাঁদের মাটিতে চারাগাছ জন্মাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যা এই গ্রহে দীর্ঘমেয়াদি বসবাস সম্ভব করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক।

বিবিসি বলছে, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অ্যাপোলো মিশনের সময় চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়। সেই মাটিতে একধরনের শাক জন্মানোর চেষ্টা করা হয়। সেখানে মাত্র দুই দিন পর বীজ অঙ্কুরিত হয়। অ্যারাবাইডোপসিস নামে এক গুল্মের বীজ থেকে চারা গজিয়েছে।

মহাকাশে গাছের বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করছেন মার্কিন আইএফএএস-এর বিজ্ঞানী অ্যানা-লিসা পল ও রব ফার্ল। তারা নাসার কাছ থেকে ‘ধার’ হিসেবে ১২ গ্রাম চাঁদের মাটি নিয়েছিলেন। পরে প্লাস্টিকের ট্রেতে এক গ্রাম করে মাটি ভাগ করে রাখা হয়। তাতে বীজ দেওয়ার পর তারা পানি ও কিছু পুষ্টি উপাদান যোগ করেন। তাতেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে চারাগুলো।

গবেষক দলের একজন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনা-লিসা পল বিবিসিকে বলেন, “আমি আপনাকে বলতে পারব না আমরা কতটা বিস্মিত হয়েছিলাম। চাঁদের মাটির সঙ্গে সহজে খাপ খাওয়াতে পারেনি চারাগুলো। তাই ধীরে বেড়ে উঠছে।”

নাসার প্রধান বিল নেলসন বলেন, “এই গবেষণাটি নাসার দীর্ঘমেয়াদি মানব অন্বেষণ লক্ষ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের বসবাস ও গভীর মহাকাশে কাজ করতে খাদ্যের উৎস বিকাশ প্রয়োজন। এ জন্য চাঁদ ও মঙ্গলে পাওয়া সংস্থাগুলো ব্যবহার করতে হবে।”

বিল নেলসন আরও বলেন, “নাসার ভবিষ্যতের মানব-মিশনগুলোর জন্য এ গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশে গবেষণা চালানোর জন্য নভোচারীদের খাদ্য উৎপাদনে মঙ্গল কিংবা চাঁদের উপাদানের দিকেই নজর দিতে হবে।”

নাসা এ পর্যন্ত চাঁদ থেকে বিভিন্ন অভিযানে ৩৮২ কেজি নুড়িপাথর, বালু-মাটি সংগ্রহ করেছে। সর্বশেষ ১৯৭২ সালের পর আর চাঁদে কোনো অভিযান চালায়নি নাসা। তবে ২০২৫ সালে আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির।

Link copied!