পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, “বংশানুক্রমিকভাবেই আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও বিভিন্ন উপজাতির মানুষ যারা এ দেশে বসবাস করেন, তাদের সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।”
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে শারদীয় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা-২০২৪ উপলক্ষ্যে সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “আমরা অন্যদের আমাদের অন্তরে স্থান দিতে পারি না। আমরা প্রচণ্ডরূপে আত্মকেন্দ্রিক। এই অচলায়তন ভেঙে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে।”
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “পূর্বের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুই কোটি বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর চার কোটি বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া এবারই প্রথম প্রথাগত নিয়ম ভেঙে দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে।”
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “আবহমানকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করে থাকে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এ বছরও তারা আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারবে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতোমধ্যেই বেশকিছু মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি মন্দিরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। পরবর্তীতেও বিভিন্ন উপাসনালয় পরিদর্শনে যাব। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছি, আগামীদিনেও রক্ষা করব।”
আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, “পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ আমাদের ছোট করে দেয়। বাংলাদেশ আমাদের সবার। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সবার অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যে সকল দুর্বৃত্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চায়, তাদের সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।”
সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিবাস চন্দ্র মাঝির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান তপন মজুমদার।
এসময় অন্যান্যের মাঝে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব সমীর গুপ্ত, সদস্য প্রণেতা সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বী দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
 
                
              
 
																
 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























