ট্যাটু মূলত একটি আলপনা। যন্ত্রের সাহায্যে শরীরে এটি আঁকা হয়। শরীরে ট্যাটুর প্রচলন বহুকাল ধরে। কখনও সামাজিক পদমর্যাদার চিহ্ন হিসেবে, কখনও ভালোবাসার নিদর্শন, আবার কখনও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকেই এটি করা হয়। ইতিহাস বলছে, চীনের নারীরা এক সময় তৎকালীন রাজাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য শরীরে ট্যাটু আঁকাতো।
তবে বর্তমানে বেশিরভাগই ফ্যাশনের অংশ হিসেবে ট্যাটু করেন। এটিকে শরীরের অলংকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক নামীদামী ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও এখন শখের বশে শরীরে আঁকছেন ট্যাটু। বিভিন্ন দেশে ট্যাটু করার বিভিন্ন দিক রয়েছে।
চীনাদের অনেকে শরীরে ড্রাগন ও সাপের ট্যাটু আঁকেন। ড্রাগন হলো তাদের পূর্বপুরুষ এবং নিজেদের রক্ষাকর্তা। তারা এসব প্রাণীকে বিভিন্ন দেবতার প্রতীক মনে করেন।
এই ট্যাটু আবার জাপানিদের কাছে ঐতিহ্যবাহী একটি শিল্প। থাইল্যান্ডের মানুষ ট্যাটু আঁকান সৌন্দর্যের পাশাপাশি রহস্যময় শক্তি পাওয়ার আশায়। তাদের বিশ্বাস, সন্ন্যাসীদের আঁকানো এসব ট্যাটু তাদেরকে খারাপ আত্মা, শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করে।
স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশে ট্যাটুগুলো ভাইকিং ও তাদের সমুদ্রযাত্রার কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা হয়। স্ক্যান্ডিনেভিয়ানরা সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি তাদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা দূর করার জন্য শরীরে আঁকান এসব ট্যাটু।
আমাদের দেশেও আজকাল শখের বশে ট্যাটু আঁকান অনেকে। কারও কারও কাছে এটি বেশ পছন্দের। বিভিন্ন চিহ্ন ট্যাটু হিসেবে হাতে, ঘাড়ে, পায়ে বা শরীরের পছন্দসই স্থানে আঁকিয়ে নেন।
আপনার মতামত লিখুন :