মানুষ খেতে পছন্দ করে। তবে মাঝে মাঝে বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। কখনো ইচ্ছে করছে ঝাল খেতে আবার কখনো মিষ্টি। আসলে কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছে, তা নির্ভর করে শরীরের ওপর। এটা মোটেও চোখের ক্ষুধা নয়। প্রতিটা বিশেষ স্বাদের সঙ্গেই শরীরের কোনো না কোনো অঙ্গের যোগ আছে। অনেক সময় খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হলে অনেকের কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রোটিনের ঘাটতি
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলেও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ে। প্রোটিনের অভাব হলে শরীর শক্তি উৎপাদনের জন্য বিকল্প কিছুর খোঁজ করে। তখন মিষ্টি, ভাত, আলু খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়।
মানসিক চাপ
মানসিক উদ্বেগ ও চাপের কারণে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোন ইনসুলিনের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে। তখন মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়।
ঘুমের ঘাটতি
দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে শরীরে বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। লেপটিন নামক হরমোন শরীরে ঠিক কোন খাবারটা কতটা প্রয়োজন, কোনটা খেতে ইচ্ছে করছে না, এই সবের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনো কারণে ঘুম ব্যাহত হলে এই হরমোনের উৎপাদন মাত্রা কমে যায়। ফলে ভাজাপোড়া, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
মিষ্টি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ
- বেশি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা করলে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে পারেন। পানি খেলে পেট ভরে যায়, তখন মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে।
- নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খেলে শরীরে জরুরি পুষ্টিগুণের ঘাটতি হবে না। তখন মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে। তবে যেকোনো ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খালি পেটে থাকবেন না। তাহলে মিষ্টি দেখলে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়।
- বেশি করে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। মাছ, মাংস, ডিম, ড্রাই ফ্রুটস খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
- মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হলে খেজুর, স্ট্রবেরি, কমলালেবু, আঙুর বা মালটাজাতীয় ফল খান।