• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করবেন যেভাবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করবেন যেভাবে
বাড়তি আয়ের অনেক সুযোগ রয়েছে আমাদের দেশে । ছবি : সংগৃহীত

নির্দিষ্ট আয় দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে আজকাল সংসার চালানো বেশ কঠিন। বিশেষ করে কম আয়ের মানুষদের জন্য এটি বেশ চাপের। তাই অনেকে এখন চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য চেষ্টা করে চলেছেন। অনেকে আবার ভাবছেন, কীভাবে বাড়ানো যায় আয়ের উৎস। তাদের জন্য কয়েকটি উপায়।  

ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হলো, টাকা আয় করার এমন একটি অনলাইন মাধ্যম, যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে। তবে এখানে যেটি করতে হয় তা হলো, কোনো ব্যক্তি তার প্রয়োজনীয় কাজ আপনাকে দিয়ে করাবেন এবং তার মাধ্যম হিসাবে তিনি অনলাইনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা থেকে শুরু করে পেমেন্টও এই অনলাইনের মাধ্যমেই করবেন। 

আমাদের দেশে ডলার আয় করার পেছনে ফ্রিল্যান্সিং এর বড় একটি অবদান রয়েছে। তাই আপনি চাইলেই আপনার চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে ঘুরে দেখতে পারেন আপনার কোনটিতে দক্ষতা রয়েছে। রাইটিং, ডিজাইনিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স কাজগুলো আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। যেকোনো একটিকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যেতে পারবেন।

ইউটিউব
ইউটিউব চ্যানেলকেও কাজে লাগাতে পারেন আপনার বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে। আজকাল এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে আপনার শুধু প্রয়োজন ভালো ভিডিও তৈরি করা। একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে যেকোনো বিষয়বস্তু ধরে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। এখান থেকেও আসতে পারে বাড়তি আয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো, কোনো পণ্যের প্রমোশন করে পণ্যটি বিক্রি করানো, যেখানে পণ্যের প্রমোশনকারী বিক্রয়মূল্যের ওপর কিছু কমিশন পেয়ে থাকেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ের অন্যতম একটি জনপ্রিয় পেশা। আপনি চাইলে অন্য যেকোনো চাকরির পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অনেক বড় ক্ষেত্র রয়েছে। কারণ অনলাইনে প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্টের জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রাখে। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে সুবিধা হলো, এখানে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি কাজ শুরু করতে পারবেন। কোনো টাকা খরচ হয় না।

ফেইসবুক
আলাদা ইনকামের জন্য ফেইসবুককে আপনি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ফেসবুকে শুধু ফ্রেন্ড এর সঙ্গে আপনার তথ্য আদান-প্রদান না করে তা থেকে বিভিন্নভাবে আয় শুরু করতে পারেন। তার জন্য ফেসবুকে আপনার একটি অনলাইন শপ খুলুন। 

এবার অনলাইন শপের জন্য একটি ফেসবুক পেইজ ওপেন করুন এবং সেখানে আপনার বিভিন্ন প্রোডাক্ট শেয়ার করতে থাকুন। আপনার কানেকশনস যতই বাড়তে থাকবে ততই দেখবেন, আপনার প্রোডাক্ট বিক্রির সংখ্যা বেড়ে গেছে। এছাড়াও ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারেন।

ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেলিং
অনেক পণ্য রয়েছে যেগুলো আপনি পাইকারি দামে কিনে, খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন। যেমন খাঁটি মধু বা এরকম কিছু আপনি পাইকারি কিনে বোতলে করে খুচরা বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার অফিস কলিগ বা পরিচিতদের মাঝে প্রডাক্ট সম্পর্কে জানালে অনেকেই তা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। এছাড়াও তা অনলাইনে প্রচার করেও বিক্রি করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং হলো, ওয়েবসাইট তৈরি করে তা বিক্রি করা। যেমন, আপনি একটি ব্লগ তৈরি করলেন এবং এতে বেশকিছু আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করলেন। কিছুদিন পর যখন এসব আর্টিকেল গুগলে র‍্যাংক করবে, তখন আপনার ওয়েবসাইটটির মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এভাবে একসময় আপনার ওয়েবসাইটের মূল্য তৈরি করতে যা খরচ হয়েছে, তার থেকে অনেক বেড়ে যাবে আর তখন আপনি তা বিক্রি করে ভালো মুনাফা পাবেন।

ছাদ বা উঠানে নার্সারি
বাগান করা আজকাল শখের পাশাপাশি বেশ লাভজনক একটি ব্যবসাতে পরিণত করেছে অনেকে। আপনিও চাইলে নার্সারি বা বাগান করার মাধ্যমে বাড়তি টাকা আয় করতে পারেন। ছাদে বা উঠানে যদি জায়গা থাকে, তাহলে লাভজনক কিছু গাছ চাষ করতে পারেন।  ফুল বা সবজি চাষ করে বাজারজাত করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমেও এটি করা যেতে পারে।  

পশু-পাখি পালন
পশু-পাখি পালনও হতে পারে চাকরির পাশাপাশি আয়ের একটি ভালো উৎস। অনেক পশু আছে যেগুলো লালন-পালন করা সহজ। এক্ষেত্রে আপনার পক্ষে কোন ধরনের পশু পালনে সুবিধা হয়, সেটি বাছাই করতে পারেন।

Link copied!