কুচকুচে কালো চোখ, শরীরজুড়ে বিচিত্র ধরণের ট্যটো। যোগ হয়েছে নানা ধরনের অলংকার।এমন মানুষ দেখে চোখ কপালে উঠবে যে কারো। কেননা শরীরের বিভিন্ন অংশে ১৫শ’ র বেশি ট্যাটোযুক্ত মানুষটি এইভাবেই বিশ্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছেন।

ব্রাজিলের অন্যতম শহর সাও পাওলোর নাগরিক ৪০ বছর বয়সী ট্যাটো শিল্পী সুজার রিবেরো। যিনি শরীর পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ে গেছেন ভিন্নমাত্রায়। সুজার শরীরজুড়ে ১৫০০ ট্যাটু। আর এটি তৈরি করতে ব্যয় করেছেন ৩৬ লাখ টাকা। এছাড়া বিশেষ কৌশলে নিজের হাতকে দু-ভাগে ভাগ করতে পারেন এ শিল্পী। বিশ্বের তিনিই প্রথম যে এই দক্ষতা অর্জন করেছেন।
এ বিষয়ে সুজার বলেন, “আমার হাতকে এমনভাবে ভাগ করা যায়, আপনার মনে হবে যেনো হাতের মাঝখানে কাঁটা রয়েছে। আসলে এটি কৌশলের একটি অংশ। যা আমি অনেক বছরের সাধনা করে এটি অর্জন করেছি।”

সুজা মনে করেন, ট্যাটো তার জীবনে ভাল কিছু এনে দিয়েছে। তাকে বিদেশে গিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

ট্যাটো ছাড়া ব্রাজিলিয়ান সুজা নিজেকে এক মুহুর্ত কল্পনা করতে পারেন না।

তার দুটি সন্তান রয়েছে। তারাও বাবাকে ট্যাটো অবস্থায় দেখতে পছন্দ করেন।