অনেকেরই অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে গা থেকে বিশ্রী গন্ধ বেরোয়, বিশেষ করে বগলে দুর্গন্ধ বেশি হয়। এই ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে আমরা বিভিন্ন বডিস্প্রে, পারফিউম ব্যবহার করে থাকি। এই সকল পণ্যের ব্যবহার সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান করলেও, কোনওটাই স্থায়ী নয়। তাই ঘরোয়াভাবে কীভাবে এর সমাধান করবেন জেনে নিই চলুন—
- প্রতিদিন এন্টি- ব্যাকটিরিয়াল সাবান দিয়ে আর্ম পিট বা বগল পরিষ্কার রাখুন। এতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন কম হবে আর ঘামও কম হবে।
- বগলের লোম জমে থাকা ঘামকে বাষ্পীভূত হতে দেয় না, ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় ধরে দূর্গন্ধ তৈরি করে। তাই নিয়মিত আর্ম পিট ওয়াক্স করুন।
- প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করুন। হালকাগরম পানি শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে আর যদি আবহাওয়া গরম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন কয়েকবার গোসল করে নিতে
- সিল্ক, সুতি জাতীয় কাপড় ত্বককে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেয়। ফলে ঘাম সহজে বাস্পায়িত হতে পারে। ন্যাচারাল ফাইবার যুক্ত কাপড় পরিধান করুন
- পায়ে ঘামের দুর্গন্ধ থাকলে জুতা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সবার সামনে নিজেকে কি বিব্রতকর অবস্থাতেই পড়তে হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার হালকা গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন।
- লেবুর সাথে মধুর সংমিশ্রণ ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান ঘরোয়া উপায়। একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিন, তাতে ২ টেবিল চামচ মধু আর ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস নিন। তারপর আপনার যেসব স্থান ঘামে সে সব জায়গায় এই সলিউশন দিয়ে রিন্স করে নিন। তারপর শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।
- ভিনেগার অতিরিক্ত ঘামের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার আপনার আর্ম পিটে লাগিয়ে ঘুমান আর সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে আস্তে আস্তে আপনি ঘামের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
- সবসময় নিজেকে শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। গোসল করার পর ভালোভাবে শরীর শুকিয়ে ভালো মানের ডিওডরেন্ট ব্যবহার করুন।
- শশাতে পানির ভাগ বেশি থাকে যা শরীরের গন্ধ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে শশা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।