যুদ্ধবিরতির পর ব্রিফিং, অপারেশনগুলোর লক্ষ্য কী ছিল জানা গেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
যুদ্ধবিরতির পর ব্রিফিং, অপারেশনগুলোর লক্ষ্য কী ছিল জানা গেল

গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পেরেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ‘অনেক মিথ্যা ও ভুয়া খবর প্রচার’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

শনিবার (১০ মে) যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ও কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় নৌবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাজির হয়েছিলেন কমোডর রঘু নায়ার। তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছে, সেই নির্দেশ তিন বাহিনীই পালন করবে। তবে বাহিনীগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ও সজাগ আছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা শক্তি দিয়ে রোখা হয়েছে বা ভবিষ্যতে যদি আবারও উত্তেজনা বাড়ে, সে ক্ষেত্রেও উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্র রক্ষা করতে যেকোনো প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি।”

সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ‘ব্যাপকহারে মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানো হয়েছিল। ভারতীয় বিমান ও স্থল বাহিনীর যেসব স্থাপনা তারা ধ্বংস করতে বা ক্ষতি সাধন করতে পেরেছে বলে দাবি করেছিল, সে সবই ভুয়া দাবি।”

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনা ও বিমানবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পেরেছে বলে ভারতীয় সামরিক বাহিনী দাবি করেছে। বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং বলেন, “পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারতীয় বাহিনী নাকি সে দেশের মসজিদ নিশানা করে আক্রমণ করেছে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ভারতের সামরিক বাহিনীগুলো সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। তারা প্রতিটা ধর্মীয় উপাসনালয়কে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে থাকে। আমাদের অপারেশনগুলোর একমাত্র লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীদের শিবিরগুলো এবং যেসব স্থাপনাকে ভারতবিরোধী কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল সেগুলো। কোনো ধর্মীয় স্থান ভারতীয় বাহিনীর নিশানায় ছিল না।”

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”

এরপর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।

পরে দুই দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!