শরীরে একবার মেদ জমতে শুরু করলে তা দূর করা খুবেই মুশকিল হয়ে যায়। ওজন কমানোর নানা কসরত করার পরও কমে না ভুঁড়ি। তাই সব সময় সচেতন থাকতে হবে, মেদ জমার কারণ হতে পারে এমন খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাকতে হবে। কারণ ভুঁড়ি বাড়লে লিভার,প্যাংক্রিয়াস, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গের উপরও মেদের আস্তরণ জমা হওয়ার ভয় থাকে। দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ বিপাকীয় নানা সমস্যা। তাই খাবারের তালিকায় যেসব খাবার রাখতে হবে চলুন জেনে নিই—
দই
দই অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। তীব্র গরমে দই দিয়ে তৈরি লাচ্ছি বা ঘোল খেয়ে থাকেন অনেকেই। তবে ভুঁড়ি কমাতে চাইলে ফ্যাটলেস দুধের টকদই খেলে মিলবে উপকার। তবে বাইরে থেকে কেনা দই নয়, খেতে হবে বাড়িতে তৈরি দই। গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটলেস দই খেলে দ্রুত ওজন কমে। তাই ভুঁড়ি কমাতে ভরসা রাখুন এই উপকারী খাবারে।
বিনস
কিডনি বিনসে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে। পেটের মেদ কমাতে এটি দারুণ কার্যকরী। এই ডালে থাকা উপকারী কিছু উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। রাজমা ডাল খেলে খেলে বিএমআই কমে আসে বলেও জানাচ্ছে ওয়েব মেড। তাই এই ডাল নিয়মিত রাখুন খাবারের তালিকায়।
আপেল ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগার আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এই ভিনেগারে থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড ফ্যাট ঝরাতে কাজ করে। তবে সরাসরি নয়, বরং ডাইলিউটেড ভিনেগার খেতে হবে। আপেল সাইডার ভিনেগার খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্রকোলি
নিয়মিত ব্রকোলি খেলে পাবেন অনেক উপকার। ব্রকোলি খেলে পেট তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে বার বার ক্ষুধা পাওয়ার সমস্যা দূর হয়। এতে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার ভয়ও থাকে না। যে কারণে ওজন ও ভুঁড়ি কমানো সহজ হয়। ব্রকোলি রান্না করে অথবা সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। এতে ভুঁড়ি দূর করা সহজ হবে, এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওটস
ফাইবারে ভরপুর ওটস শরীরের বিভিন্ন উপকার করে। ভুঁড়ি কমাতে চাইলে নিয়মিত ওটস খেতে হবে। এই খাবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। যে কারণে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না। এতে ওজন ও ভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এছাড়া ওটস খেলে তা ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।