নাগরিক জীবনে একটি ছুটির দিন মানেই যেন উৎসব আর হৈ হৈ করে পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটিয়ে দেওয়ার দিন। আর এসব আনন্দ আয়োজন তো বিশেষ খাবারদাবার ছাড়া অর্থহীন। তাই বাড়িতে সেদিন রান্নাটা একটু অন্য রকম হয়। কেউ কেউ আবার ছুটির দিনে বাইরে বা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খান। চলুন তাহলে জেনে নিই ছুটির দিনের খাবারের পরিকল্পনা কেমন হতে পারে—
- ছুটির দিনের মেন্যুতে পোলাও-মাংসের মতো একটু ভালো খাবার থাকতেই পারে। বাড়িতে রান্না হলে মাংসের চর্বি ফেলে দিন। কম তেল দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করুন। যেমন গ্রিল, বেক বা কাবাব করার পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। ঘি ব্যবহার না করাই ভালো। মেন্যুতে অবশ্যই সবজি রাখবেন। আর খুব সুস্বাদু ও মুখরোচক একটা সালাদ তৈরি করার চেষ্টা করুন।
- যদি রেস্তোরাঁয় খেতে যান, তার আগে সারাদিন হালকা খাবারই খেতে হবে। রাতে মাংস খেলে দুপুরে মাছের পদ রাখতে পারেন।
- রেস্তোরাঁয় ঠিক কী ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়, আগে থেকে জেনে নিতে পারেন। অনেক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে মেন্যুর নাম ও ছবি দিয়ে রাখে। সেখানে দেখে নিন, আপনার জন্য উপযোগী কম তেল-চর্বিযুক্ত খাবার আছে কিনা।
- রেস্তোরাঁর আইটেম কার্ডে ‘ক্রিসপি’, ‘রিচ’ ইত্যাদি লেখা খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন আপনার স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। বেক করা, গ্রিল করা বা সেদ্ধ আইটেম আছে কিনা দেখুন। শুরুতে স্বাস্থ্যকর স্টার্টার নিন। এতে পরের খাওয়ার পরিমাণ কমে আসে। সস বা মেয়নেজযুক্ত এবং পিকলড বা স্মোক করা খাবারে লবণের মাত্রা বেশি থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই অর্ডার দেওয়ার সময় নিজের পছন্দমতো অদলবদল করতে লজ্জা পাবেন না। ভোক্তা হিসেবে এটা আপনি করতেই পারেন। লবণ কম দেবেন বা সালাদে মেয়নেজ ড্রেসিং চাই না, কিংবা কফিতে চিনি কম এসব নির্দেশনাও দিতে পারেন। কোমল পানীয়র বদলে ফলের রস খেতে পারেন। ডেজার্টের বদলে নিতে পারেন ফলের সালাদ বা দই।
- পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যান। যত বেশি মানুষ হবে তত কম খাওয়া হবে। রেস্তোরাঁয় তিনজনের খাবার অনায়াসে চারজন খেতে পারে। বেশি বেশি অর্ডার দিয়ে ফেললে খাওয়া বেশি হবে। সবাই মিলে গল্প করতে করতে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খান।