• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নববধূর সঙ্গে শাশুড়ির আচরণ কেমন হবে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
নববধূর সঙ্গে শাশুড়ির আচরণ কেমন হবে
নববধূর সঙ্গে শাশুড়ির আন্তরিক সম্পর্ক সংসারে শান্তি বয়ে আনে। ছবি : সংগৃহীত

প্রত্যেকটি সম্পর্ক আলাদা। মা আর শাশুড়ির মধ্যেও তাই ভিন্নরকম একটি মিষ্টি সম্পর্ক রয়েছে। সেটি বজায় রাখতে পারলে সংসারে সুখ থাকবে ভরপুর। আসলে বিয়ে তো শুধুমাত্র দুইজন মানুষের বন্ধন নয়। এরসঙ্গে আরও অনেককিছু জড়িত থাকে। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুটি পরিবারের সামাজিক বন্ধন। 

তবে বিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়টি হলো, নববধূকে তার নিজের পরিবার ছেড়ে আজীবনের জন্য চলে আসতে হয়। সম্পূর্ণ আলাদা পরিবেশে, নতুন সম্পর্ক ও পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। 

এর জন্য শ্বশুরবাড়ির সদস্যদেরকেই ভূমিকা রাখতে হয় সবচেয়ে বেশি। আর সে দায়িত্ব শাশুড়িকেই নিতে হয় সবার আগে। তাই চলুন জেনে নিই নববধূর সঙ্গে শাশুড়ির আচরণ কেমন হওয়া উচিত।

নতুন বউকে শ্বশুরবাড়ির সবকিছু সম্পর্কে শুরুতেই ধারণা দিয়ে দেওয়া ভালো। যেমন পরিবারের সদস্যদের কার কী অভ্যাস, কে কী পছন্দ করেন আগে বলে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি তার তার পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। এতে পরবর্তী সময়ে অহেতুক কোনও জটিলতা তৈরি হবে না। 

ভাষার ব্যবহারে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। তার সঙ্গে আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলুন। এতে তিনি যেমন স্বস্তি পাবেন তেমনি তার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। নিজের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আসার কষ্ট সামলে উঠতে পারবে দ্রুত। জীবনযাপনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এমন আচরণ সহায়ক হবে তার। 

নববধূরও চেষ্টা করতে হবে আন্তরিকভাবে কথা বলার। আগ্রহ নিয়ে সবকিছু জানার বা বুঝে নেওয়ার। স্বামী-স্ত্রীকে নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া উচিত। দাম্পত্য জীবনের প্রথম দিকেই বোঝাপড়ার বিষয়টি খুব জরুরি। তাদের বোঝাপড়া নিজেদেরকেই করে নিতে দিন। শাশুড়ি হিসেবে সেসবের মাঝখানে মতামত দিতে যাবেন না। এতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নববধূর ঘাড়ে সব কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। প্রথমেই বড় কোনও কাজের দায়িত্ব দিতে যাবেন না। নতুন বউ কাজ করতে চাইলে সকালের চা বানানো, বিকেলের নাশতা, ঘর গোছানো ও বাগান পরিচর্চার মতো ছোট ছোট কাজ তাকে দেওয়া যেতে পারে। তাকে অভ্যস্ত হতে দিন আগে। 

নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়ার সময় দিন। নতুন পরিবেশ, নিয়মকানুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন।  নববধূর সম্পর্কে কোনোরকম নেতিবাচক মন্তব্য করা উচিত নয়। বাবা,মা, ভাই-বোনদের ছেড়ে আসার জন্য মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। এ সময় তার সঙ্গে মায়ের মতো স্নেহ দিয়ে কথা বলুন। 

একসঙ্গে চা পান করুন, গল্প জমান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের যেকোনো বিষয়ে তার মতামত নেওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে তিনিও নিজেকে এই পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলে মনে করবেন। এবং সবাইকে আপন করে নেওয়া তার জন্য সহজ হবে।

Link copied!