খুব কম যত্নে যেসব গাছ ভালো থাকে সেগুলোর মধ্যে মানিপ্ল্যান্টই সেরা। ঝাঁকড়া পাতাও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝলমলে গাছ চাইলে কিছুটা যত্নে রাখতেই হবে শখের মানিপ্ল্যান্টকে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক মানিপ্ল্যান্টের যত্নে কিছু টিপস-
আর্দ্রতা
মানি প্ল্যান্টের সাধারণত আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে হিউমিডিফায়ার আছে এমন ঘরে রাখতে পারেন গাছ। হিউমিডিফায়ারে না থাকলে আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য আপনার গাছটিকে একটি নুড়ির ট্রেতে রাখার চেষ্টা করুন।
তাপমাত্রা
মানিপ্ল্যান্ট উষ্ণ জলবায়ু পছন্দ করে। কারণ তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান উষ্ণ এবং আর্দ্র। ১৫ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালো থাকে মানিপ্ল্যান্ট। তবে এ ধরনের গাছ বেশ নমনীয়। ফলে তারা আদর্শ পরিসরের চেয়ে ১০ ডিগ্রি বেশি বা কম তাপমাত্রাতেও ভালো থাকবে।
সার ব্যবহার
একটি স্বাস্থ্যকর মানিপ্ল্যান্টের জন্য সার জরুরি। মাসে একবার সার দেবেন গাছে। তবে শীতকালে সার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়া অন্যান্য সময় মাসে একবার মাটি খুঁচিয়ে কিছুটা জৈব সার দিয়ে পানি দিয়ে দিন।
পানি দেওয়ার সময়
মানিপ্ল্যান্টের জন্য পানি জরুরি। তবে বাড়তি পানি কিন্তু গাছের জন্য ক্ষতিকর। গরমের সময় গাছের ধরন এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী ২ থেকে ৩ দিন পর পর পানি দেবেন। মাটি শুকিয়ে গেলে তারপর পানি দেবেন।
আলো
সাধারণত সরাসরি সূর্যের আলোতে মানিপ্ল্যান্ট দ্রুত বাড়ে। তবে ঘরের ভেতরেও ভালো থাকে এরা। মানিপ্ল্যান্ট ছায়াময় স্থানে রাখুন, যেখানে দিনের কিছুটা সময় রোদ আসে। সারাদিন রোদ পড়ে এমন জায়গায় না রাখলেই ভালো করবেন এ ধরনের গাছ।
আর কিছু টিপস
- মাটির পাশাপাশি পানিতেও মানিপ্ল্যান্ট রাখতে পারেন। তবে পানির তুলনায় মাটিতে দ্রুত বাড়ে এই গাছ।
- অনেক লম্বা হয়ে গেলে কেটে দিতে পারেন। এতে অন্যান্য অংশ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
- কাটিং থেকে খুব সহজেই নতুন গাছ তৈরি করে নিতে পারবেন। এজন্য ডাল কেটে কয়েক সপ্তাহ পানিতে রেখে দিন। শিকড় বের হলে মাটিতে রোপণ করুন।
- টবের নিচ দিয়ে শিকড় বের হয়ে আসলে অপেক্ষাকৃত বড় একটি টবে স্থানান্তর করে নিন।