বয়স বাড়লে সেই ছাপ চোখে, মুখে, শরীরে তো পড়বেই। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, অতিরিক্ত দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনেও ফলে বয়সের আগেই ত্বকে বয়সের ছাপ চলে আসে অনেক সময়। বেশ কয়েক বছর আগেও, কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু এখন বিভিন্ন কারণে না চাইতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ। কিছু অভ্যাসই পারে অকালবার্ধক্যকে দূরে সরিয়ে রাখতে। অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া আটকাবেন কীভাবে চলুন জেনে নিই।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না? ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার এটাও একটা কারণ। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কারণ ঘুমানোর সময় ত্বকের রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়, যা ত্বককে বলিরেখার হাত থেকে বাঁচায়। তাই প্রতি দিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। কম ঘুমালে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়ে। তা থেকে অচিরেই পড়তে পারে বার্ধক্যের ছাপ।
স্বাস্থ্যকর খাবার
রোজ ডায়েটে এমন খাবার রাখুন, যাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি। কারণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ খাবার ত্বককে নমনীয় করে ও অকালবার্ধক্যের সমস্যাকে সহজেই প্রতিহত করে। পাতে রাখুন বেল পেপার, ব্রকলি, গাজরের মতো শাকসবজি। আর রোজ অন্তত বেদানা, ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো জাতীয় যেকোনো ফল খান। দিনের মধ্যে অন্তত একবার গ্রিন টি খেতে পারেন।
শরীরচর্চা
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার সত্যিই কোনো বিকল্প নেই। ওজন কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সবকিছুতেই ব্যায়ামের ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সবার একটাই পরামর্শ নিয়ম করে শরীরচর্চা করে যেতে হবে। তবেই মিলবে সুফল। বয়সের ছাপ দূরে রাখার পাশাপাশি বহু রোগের ঝুঁকিও কমবে।
মানসিক স্বাস্থ্য
৬০ বছর পর্যন্ত চুটিয়ে কাজ করেছেন। তারপর কর্মজীবনে এসেছে অবসর । এত দিনের অভ্যাসে ছেদ পড়লেও মানসিক অবসাদ গ্রাস করতে পারে। মানসিক অবসাদের ছাপ কিন্তু পড়ে মুখে-চোখে। যার ফলে ত্বক অনেকটা বুড়িয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে মনের যত্ন নিতে হবে।
রোদ থেকে সতর্ক হোন
ত্বকে বয়সের ছাপ যদি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি কেউ ফেলতে পারে, সেটা রোদ। কাজেই রোদে বেরোলে সঙ্গে রাখুন ছাতা, টুপি, কালো চশমা। ফুলহাতা জামা পরুন। অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মাখতে ভুলবেন না। বেশি এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। রোদ থাকলে তো বটেই, এমনকি মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না।