অসুস্থতার কারণে আমাদের পরিবার বা আত্মীয় পরিচিতজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অনেক সময়। আর তাদের দেখতে গিয়ে আমরা অনেকেই মেতে উঠি খোশগল্প বা আড্ডায়। অনেকেই আবার নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বসে থাকেন রোগীর বিছানায়।
আমাদের এ ধরনের অচরণ ও অসচেতনতা রোগীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হাসপাতালে বহিরাগতদের অবশ্যই কিছু নিয়ম বা আদবকেতা জানা উচিত।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হাসপাতালে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত, সে সম্পর্কে—
- হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে অবশ্যই আপনার ফোনটি সাইলেন্ট রাখুন। মনে রাখবেন ওয়ার্ডে ক্রিটিক্যাল রোগী থাকে। তারা আপনার আচমকা বেজে ওঠা ফোনকলের শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আপনার মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে রাখুন।
- হাসপাতালে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে আপনার রোগীর সঙ্গে তার স্বাস্থ্য নিয়ে সামান্য কথা বলে চুপচাপ থাকুন। হাসপাতালে একেবারই হইচই করবেন না।
- প্রতিটি হাসপাতালে রোগী দেখার একটা নির্ধারিত সময় থাকে। কাজেই চেষ্টা করুন ওই সময়ের মধ্যে আপনার রোগীকে দেখে আসতে।
- হাসপাতালে অসুস্থ রোগীদের ইমিউনিটি কম থাকে। কাজেই রোগী দেখতে গেলে আবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যান। আর করোনার এই সময়টাতে স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিতে ভুলবেন না।
- হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে যাওয়া একেবারই উচিত নয়। যেকোনো সময় আপনার ছোট্ট শিশু জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে।
- হাসপাতালে থাকা মানুষটি মানসিকভাবেও দুর্বল থাকে। তাই রোগীর সামনে নেতিবাচক মন্তব্য করবেন না। বরং তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে সাহস জোগান।
- প্রতিটি হাসপাতালের নিজস্ব কিছু নিয়ম থাকে, সেই নিয়মগুলো মেনে চলুন। সেখানে নিজেন অবস্থান বা পেশার কোনো জোর খাটাবেন না।
- অন্য রোগীদের অসুবিধাহয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। কখনো চড়া মেকআপ করবেন না। আর পোশাক নির্বাচনেও থাকুন সচেতন।
- আপনার জামা কাপড় থেকে রোগীর শরীরে ইনফেকশন ছড়াতে পারে, তাই রোগীর বিছানায় বসবেন না।
- অযথা হাসপাতালের করিডরে ঘোরাফেরা করবেন না। নির্ধারিত জায়গায় বসুন। কাজ শেষে দ্রুত বেরিয়ে আসুন।
- হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার বা নার্সের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। পরিচ্ছন্নকর্মীর সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করুন।
- হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হয় এমন কাজ করবেন না। হাসপাতালের পরিবেশ সুন্দর রাখতে সাহায্য করুন এবং নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলুন।